লাতু ডেস্ক:: প্রাথমিক শিক্ষায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। আর পিছিয়ে আছে সিলেট বিভাগ। পিছিয়ে থাকার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, এই বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বেশি। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক স্বল্পতা, শিক্ষা প্রশাসনে কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বল্পতা এবং বিভাগের হাওর অঞ্চল ও চা-বাগানে প্রচুর শিশু কাজ করে।
এই শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগ কম। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে। জরিপে স্কোরভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলা বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কোর ১০৯.৩, ঢাকায় ১০৫.৯, রংপুরে ১০২.৯, চট্টগ্রামে ১০২.৪, রাজশাহীতে ১০২.৩, বরিশালে ১০১.২, খুলনা বিভাগে ১০০.৮ এবং সিলেট বিভাগে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলায় স্কোর ৯৮.৪। আবার ময়মনসিংহ বিভাগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলায় স্কোর ১১৪.৩, ঢাকায় ১১২.৬, রংপুরে ১১১.২, চট্টগ্রামে ১০৯.৯, বরিশালে ১০৯.২, খুলনা ও রাজশাহীতে ১০৯ এবং সিলেট বিভাগে ৯৬.৪।
গণিত বিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কোর ১১১.১, ঢাকায় ১০৬.৬, রংপুরে ১০৪.৭, রাজশাহীতে ১০৩.২, চট্টগ্রামে ১০৩.১, বরিশালে ১০২.৫, খুলনায় ১০০.৭ এবং সিলেট বিভাগে ৯৯.৮। একই বিষয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কোর ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৯.৪, ঢাকায় ১১৫.৪, চট্টগ্রামে ১১৩.৪, রংপুরে ১১২.৭, রাজশাহীতে ১১২.৫, খুলনায় ১১১.৪, বরিশালে ১১০.৩ এবং সিলেট বিভাগে ১০৮.১।
এগিয়ে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা
জরিপে বলা হয়, দক্ষতার দিক থেকে এগিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে পিছিয়ে এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
মধ্যম অবস্থায় আছে দেশের বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনগুলো। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলায় দক্ষ ৪৯ শতাংশ এবং পঞ্চম শ্রেণির ৫০ শতাংশ। গণিতে দক্ষ তৃতীয় শ্রেণির ৩৯ শতাংশ এবং পঞ্চম শ্রেণির ৩০ শতাংশ।
শিখন দক্ষতা কমেছে
প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শিখন দক্ষতা ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২২ সালে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ২০১৩ সালের জরিপের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের শিখন দক্ষতা কমেছে।
২০১৩ সালে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলায় স্কোর ছিল ১০৪ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১১৫, যা ২০২২ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে ১০৩ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১১০ হয়েছে। গণিতে ২০১৩ সালে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কোর ছিল ১০৪ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১১৮, যা ২০২২ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে ১০৪ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১১৩ হয়েছে।