রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেটে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর বাসায় অস্ত্রের মহড়া, সেই কাউন্সিলর আত্মগোপনে



বিজ্ঞাপন

লাতু ডেস্ক:: সিলেটের ভোটের মাঠে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা এখন গোটা সিলেটজুড়েই আলোচিত হচ্ছে। এমন ঘটনায় বিব্রত প্রার্থীরাও। এদিকে, ৭নং ওয়ার্ডে প্রদর্শিত অস্ত্র গতকাল বিকাল পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। পুলিশ বলছে, অভিযান চলছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাঈদ মো. আব্দুল্লাহর দায়ের করা মামলায় আসামি হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী আফতাব হোসেন খান। মামলা দায়ের করার পর থেকে আফতাব ও সাঈদ আব্দুল্লাহ দু’জনই মাঠে নেই। প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন না।

গতকাল আফতাবের কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, যেহেতু মামলা হয়েছে, সে কারণে জামিন নিয়ে ভোট প্রচারণায় নামবেন আফতাব। তবে- তার কর্মী-সমর্থকরা মাঠে সক্রিয়। তারা ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। মাঠে নেই মামলার বাদী কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ মো. আব্দুল্লাহও।

প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছেন তিনি। তবে- তাকে প্রধান আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত হওয়া শাহনূরের সহপাঠীরা। তারা জানিয়েছেন, সাঈদ আব্দুল্লাহকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

৫ই জুন রাতে জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় শাহনূরের উপর কাউন্সিলর প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরেই পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটে। সাঈদ আব্দুল্লাহ নিজেও গণমাধ্যমের কাছে দুই বিষয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। একটি হচ্ছে: তাকে গ্রেপ্তার করে মামলা করা হতে পারে। অন্যদিকে তার উপর হামলারও আশঙ্কা করছেন তিনি।

এ কারণে তিনি আপাতত ভোট প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছেন বলে দাবি করেন। গতকাল বিকালে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ জানিয়েছে, শাহনূরের পক্ষ থেকে মামলার এজাহার পেলে তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন। তবে- শাহনূর গুরুতর আহত হয়েছে সত্য। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী প্রতিবাদও জানিয়েছেন। গতকাল এলাকায় ভোট প্রচারণা চালিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদ খান সায়েক।

তিনি জানিয়েছেন, ‘এলাকার মানুষ ভূমিখেকো সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি। এজন্য এখন তার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এলাকার মানুষ। তার পক্ষে প্রচারণায়ও নেমেছেন লোকজন। তবে- তার প্রতিদ্বন্দ্বী দু’প্রার্থীর কাউকে গত দু’দিন ভোট প্রচারণায় দেখা যায়নি।’ এদিকে, ৭নং ওয়ার্ডের এক প্রার্থী কর্তৃক আরেক প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনাটিকে ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

গতকাল দুপুরে তিনি নগরীর শিবগঞ্জ, টিলাগড় এলাকায় গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, ‘আমরা এ ঘটনাটি বড় করে দেখছি না। এ ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ‘বড় ঘটনা না হলেও আমরা চাই না কেউ এ ধরনের ঘটনা করুক। সন্ত্রাস, ছিনতাই ও রাহাজানি মুক্ত সমাজ আমরা গঠন করতে চাই। আমরা চাই সিলেটের পরিবেশ সুন্দর থাকবে এবং সিলেটের ঐতিহ্য আমরা ধরে রাখবো।’ তিনি এসব পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যারা এসব ঘটনায় জড়িত, আগামী দিনে সুন্দর সমাজ গঠনে তারা অবদান রাখবেন। সিলেট যেন শান্ত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

সিলেটে আগামী দিনে ৫০ হাজার যুবক এখানে আউটসোর্সিং পেশায় নিয়োজিত হবে। তারা পড়ালেখায় মনোযোগী হবে। কিন্তু সব জায়গায়ই দু’একজন থাকে। দু’একটি ঘটনাকে ৫ লাখ ভোটারের উপর ফেলে দেয়া উচিত হবে না। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর মধ্যে সব ভোটার, সব প্রার্থী দায়ী হওয়ার কোনো কারণ নেই।’ নগরের বাগবাড়ি এলাকায় গণসংযোগকালে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল অস্ত্রবাজির ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিনিয়ত অন্যান্য প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আমি বার বার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনো সদুত্তর পাইনি। ফলে আমি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত আছি।