নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আল্লাদাদ চা বাগানের লীজকৃত ভূমি স্থানীয় আদিবাসী খাসিয়ারা জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগানের জবর দখলকৃত ভূমি ছেড়ে দেওয়ার তাগিদ দিলেই তারা পান ও সুপারি গাছ কেটে ফেলার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বাগান ব্যবস্থাপকসহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এতে চা বাগানের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শনিবার দুপুরে বাগান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এমডি বাংলোয় সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাগানের মহা-ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ্দিনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাগানের প্রধান টিলাবাবু পলাশ চন্দ্র দাস। এসময় টিলা বাবু আবুল হাসনাত লতিফ, শ্রমিক সুরেন নায়েক, ইসলাম উদ্দিন, রোকেয়া বেগম, প্রিয়তমা ভৌমিজ বনপ্রহরী সেজু মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তেব্যে প্রধান টিলা বাবু পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, গত ৮ মে খাসিয়াদের বেআইনীভাবে জবর দখলকৃত বাগানের ইজারাধীন ভূমির পান জুমে কে বা কারা পান ও সুপারি গাছ কেটেছে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে বহুবার খাসিয়াদের বাগানের ভূমি ত্যাগ করার কথা বললেই তারা নিজেরা পান, সুপারি, লেবু গাছ কেটে সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনের সমবেদনা অর্জনের চেষ্টা চালায়। এবারও তারা একই ঘটনা ঘটিয়ে গত ১৭ মে বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট, মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত তথ্য দিয়ে বাগানের মহাব্যবস্থাপক ও পাহারাদারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এতে আল্লাদাদ চা বাগানের চলমান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
টিলা বাবু পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, খাসিয়ারা প্রথমে থানায় জিডি করেছে। এতে চাঁদা দাবির কথা উল্লেখ ছিল-না। তবে রহস্যজনকভাবে আদালতে করা মামলায় বাগান মহা-ব্যবস্থাপক সিরাজ উদ্দিন ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটা থেকেই বুঝা যায় এটা ষড়যন্ত্রমূলক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ০৮ মে বেরেঙ্গা খাসিয়াপুঞ্জির ৩ হাজার পান ও ৬০টি সুপারি গাছ কাটার অভিযোগ এনে পানচাষি অলমি খাসিয়া আল্লাদাদ চা বাগানের ম্যানেজার সিরাজ উদ্দিন, পাহারাদার নূর উদ্দিন ও আব্দুস সামাদের নামোল্লেখ ও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে আদালতে মামলা করেছেন।