বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

ব্যস্ত আনোয়ার



বিজ্ঞাপন

লাতু ডেস্ক:: হঠাৎ করেই সিটি নির্বাচনে ডাক পড়ে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর। গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি। তখন লন্ডনে ছিলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। প্রার্থী হতে শর্ট নোটিশে গত ২২শে জানুয়ারি আসেন সিলেটে। প্রথমদিনই তাকে নিয়ে অনুসারীদের ব্যাপক উদ্দীপনা। শোডাউনও হয়েছে সিলেটে। সঙ্গে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। পাশাপাশি সিলেট আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারাও বিমানবন্দরে গিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান। সিলেটের মাঠে নেমেই আনোয়ার নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেন। দিন দিন পরিস্থিতি উন্নতি হতে থাকে।

এমনকী বলয় বাড়তে থাকে। তবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের মূল বলয়টি তার উল্টো। আনোয়ারের সঙ্গে নাদেল থাকায় বেঁকে বসেন সিলেটের নেতারা। এ কারণে একে একে ৭ জন প্রার্থী সিটি নির্বাচনে নৌকার টিকিটের জন্য প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলেন। তবে সিলেট সিটিতে নৌকার টিকিটের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। শেষমেশ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার কান্ডারি হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

তবে নৌকার প্রার্থী হওয়ার পর ভুল করেনি সিলেট আওয়ামী লীগ। লন্ডনে অবস্থানরত মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ছাড়া অন্যরা গিয়ে বিমানবন্দরে আনোয়ারকে বরণ করে নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জেবুন্নেছা হকও। এখন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে গ্রহণ করেই ধীরে ধীরে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে মুখ্য ভূমিকা রাখছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিজেও। দলের নেতাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা গড়ে তুলতে তিনি কাজ শুরু করেছেন। নেতারা মনে করছেন এখনো নৌকার পক্ষে সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা ঐক্যবদ্ধ হননি। ভোটের মাঠে যে গতি নিয়ে নামার কথা সেটি অনুপস্থিত রয়েছে। এক্ষেত্রে সিলেট আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও দায়ী। এরপরও আনোয়ার সবাইকে একই প্ল্যাটফরমে নিয়ে আসতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শও।

তারা জানিয়েছেন, গত বুধবার সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনীতেও অংশ নেন আনোয়ার। এই অনুষ্ঠানে সদরের নেতারাও বর্ধিত ১৫টি ওয়ার্ডে নৌকার পক্ষে নেমে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। একইদিনে শ্রমিক লীগকে নিয়েও তিনি সভা করেছেন। সেখানে শ্রমিক লীগের সব নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গতকালও সিলেট আওয়ামী লীগের একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেও তিনি বক্তৃতা করেছেন। সিলেটে অবস্থানরত বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর আওয়ামী লীগের সিলেটের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করছেন। দু’একদিনের মধ্যে আনোয়ারের সাবেক তেলীহাওর বলয়ের নেতাদের নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন। আনোয়ারুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিন দলীয় নেতাদের নিয়ে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবেন আনোয়ারুজ্জামান।

এ ছাড়া জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ে সিলেটে নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করবেন। তারা জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নৌকার পক্ষে সিলেট আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ শুরু করেন প্রার্থী নিজেই। এখানে তিনি সফল হতে পারলে সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হওয়া তার জন্য সহজ হবে বলে মনে করছেন নেতারা। এক্ষেত্রে নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ের আগে নাদেল-নাসির সর্ম্পকের উন্নতি করতে তিনি ভূমিকা রাখবেন। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গ্রুপিং রাজনীতি কমিয়ে আনতে তিনি কাজ করছেন। এর পাশাপাশি আনোয়ারুজ্জামান সিলেটের সুধী সমাজসহ নানা মহলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন বলে জানিয়েছেন তারা। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, সিলেট আওয়ামী লীগ নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। যারা আমার সঙ্গে দলীয় ফোরামে প্রার্থী হওয়ার জন্য লড়াই করেছেন তারাও একেক করে মাঠে নামছেন এবং নৌকার জয়ের জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবই তারা করছেন।