শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

কানাডায় পাঠানোর নামে ভারতে পাচার, বড়লেখায় মানব পাচারকারী কারাগারে
দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের সৎপুর গ্রামের পাঁচ যুবকসহ আট জনকে কানাডা পাঠানোর কথা বলে তাদের নিকট থেকে ১ কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে মানব পাচারকারী চক্র তাদেরকে ভারতে পাচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে খাইরুল হাসান নামে প্রতারিত যুবকের ভাই খছরুল আলমের মানবপাচার প্রতিরোধ ও অর্থ-আত্মসাৎ মামলায় বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক চক্রটির মূলহোতা নাজমুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। সে বড়লেখা উপজেলার সৎপুর গ্রামের নইম উদ্দিনের ছেলে।

বড়লেখা আদালত পুলিশের জি.আরও এএসআই পিযুষ কান্তি দাস রোববার এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের একটি মামলার প্রধান আসামী নাজমুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার জামিন নিতে আদালতে হাজির হন। বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত ও প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, মানবপাচার মামলার প্রধান আসামী বড়লেখার নাজমুল ইসলাম ও ২ নং আসামী কুলাউড়ার কামারকান্দি গ্রামের রুবেল আহমদ এবং মামলার বাদী খছরুল আলমের ছোটভাই খাইরুল হাসান একত্রে দুবাই থাকতেন। ১ নং আসামী নাজমুল ইসলাম তার পাসপোর্টে কানাডার ইমিগ্রেশন শীল ও কিছু ভিডিও দেখিয়ে তাকে কানাডা যেতে প্রলুব্ধ করেন। পরে প্রস্তাব দেয় সে তাকেসহ আগ্রহী যে কাউকে কানাডায় পাঠাতে পারবে। এই প্রক্রিয়ার সাথে রুবেলও সম্পৃক্ত রয়েছে। তারা উভয়ে বিশ্বাস জন্মিয়ে বড়লেখার খায়রুল হাসান, জিলাল আহমদ, আমিনুল ইনলাম, আব্দুল গনি, দেলোয়ার হোসেন, দেশের অন্যান্য এলাকার ৩ জনসহ মোট আটজনকে কানাডা পাঠানোর জন্য তাদের নিকট থেকে ৫২ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা অগ্রীম গ্রহণ করে। গত বছরের ২০ আগস্ট মানবপাচারকারী নাজমুল ও রুবেল কানাডা যাত্রা চূড়ান্ত জানিয়ে আট জনের মধ্যে ছয় জনকে দুবাই থেকে দেশে পাঠিয়ে দেয়। অপর তিন জন আগে থেকেই দেশে ছিল। এই আট জনকে ৩ হাজার ডলার করে সঙ্গে নিয়ে ভিসা তোলার জন্য ভারতে পাঠায় এবং জানায় সেখানে তাদের নিয়োজিত ব্যক্তিরা তাদেরকে রিসিভ করবে। সেখানে তাদের পাচারকারী সিন্ডেকেটের ভারতীয় সদস্যরা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে রশি দিয়ে চোঁখ বেধে একটি রুমে আটক করে সাথে থাকা ২৪ হাজার ডলার হাতিয়ে নেয়। জিম্মি করে অনাহারে রেখে শারীরিক নির্যাতনের ছবি হোয়াটসএপে বাড়িতে পাঠিয়ে তাদের মুক্তির জন্য এই সিন্ডিকেট আরো ৪৮ লাখ টাকা আদায় করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী খায়রুল হাসানের ভাই খছরুল আলম গত বছরের ১৪ নভেম্বর মানবপাচারকারী সিন্ডিকেটের মূলহোতা বড়লেখার নাজমুল ইসলাম, সহযোগী কুলাউড়ার রুবেল আহমদ ও তার স্ত্রী মুন্নি বেগম এবং বড়লেখার নইম উদ্দিনকে আসামী করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে বড়লেখা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় গত বৃহস্পতিবার প্রধান আসামী নাজমুল ইসলাম জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।