নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বটুলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আব্দুল মুমিন বাপ্পা (৩০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন।
হত্যার দুইদিন পেরিয়ে গেলেও লাশ এখনও ফেরত আসেনি বাংলাদেশে। এদিকে বাপ্পার লাশের অপেক্ষায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা।
সোমবার (২২ মার্চ) সকালে বিজিবির-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, রোববার (২১ মার্চ) দুপুরে ভারত সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওপর মহলের নির্দেশনা না থাকায় ওই বৈঠকে লাশ আনার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নিহতের পরিবার লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করলেও আবেদনটি গ্রহণ করেনি বিজিবি।
নিহত যুবক বাপ্পার বাবা আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আমার ছেলের লাশ ফেরত চাই। এ বিষয়ে বিজিবির কাছে আবেদন করলে তারা আবেদনটি গ্রহণ করেননি। আপনাদের মাধ্যমে বিজিবির কাছে অনুরোধ করছি, অনতিবিলম্বে ছেলের লাশ যেন দেশে ফেরত আনা হয়।’
ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ জানান, ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাপ্পার লাশ ফেরত আনতে বিজিবি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। বিজিবির অবহেলা ও দায়িত্ব পালনে উদাসীনতার জন্য সীমান্তে এরকম ঘটনা ঘটছে।
সুবেদার দেলোয়ার হোসেন জানান, উপর থেকে নির্দেশ আসলে লাশ আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত উপর মহল থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
উল্লেখ্য, শনিবার (২০ মার্চ) ভোরের দিকে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী এলাকায় বাংলাদেশি পিলার ৮২৩ এর বিপরীত পাশে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার অভ্যন্তরে আব্দুল মুমিন বাপ্পার মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।