নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় রাতের অন্ধকারে খুটির সাথে বেধে অর্নাস পড়ুয়া কলেজছাত্র মো. ফয়সলকে নিযার্তন করা হয়েছে। শনিবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার দ্বিমুড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
ফয়সলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ফয়সল চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাসারগাও গ্রামের আহসান উল্ল্যার ছেলে। সে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র এবং কুরআআনে হাফেজ।
সূত্রে জানা গেছে, ফয়সলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের দ্বিমুড়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল হাইর কন্যা লিজার। ফয়সল ও লিজা একই কলেজে পড়ে। একই সাথে আসা যাওয়ার সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। লিজা তাদের প্রেমের সম্পর্ক তার মাকে জানায় এবং ফয়সলকে পরিচয় করিয়ে দেয়। একপর্যায় লিজার পরামর্শে মা লিপি বেগম ফয়সলকে বাড়িতে দাওয়াত করে। ফয়সল দেখা করতে গেলে মেয়ের পরিবারের লোকজন তার হাত-পা খুটির সাথে বেধে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে তার অবস্থার অবনতি হলে তারা তাকে ডাকাত বলে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার একদল পুলিশ গিয়ে মুছলেকায় পরিবারের জিম্মায় দেন। পরে ফয়সলের মা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ফয়সলের মা বলেন, মারপিটের সময় আমার ছেলের বুকে প্রচন্ড আঘাত পায় এবং স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলে। তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান পূর্বপশ্চিমকে বলেন, কোন অভিযোগ পাইনি। প্রেম ঘটিত একটি বিষয় শুনেছি। পুলিশ গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে তুলে দিয়েছে।