নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে এবার চেয়ারম্যান মেম্বারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে হবিগঞ্জ আদালতে। মামলাটি আমলে নিয়ে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নবীগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে আদালতে মামলা করেন নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপির পারকুল গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূ।
ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন, পরিষদের সদস্য দুলাল আহমদ, সেবুল মিয়া, সহিদুল মিয়া, জিবু মিয়া। এছাড়াও মামলায় আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, গত ৮ অক্টোবর বিকেলে ওই গৃহবধূ রিকশা যোগে শেরপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রিকশা পারকুল গ্রামের মেম্বার দুলাল মিয়ার বাড়ির সামনে আসামাত্র আসামিরা তাকে জোরপূর্বক একটি সিএনজি যোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে তিনদিন আটকে রেখে আসামিরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। চারদিন পরে আসামিরা স্থানীয় আউশকান্দি বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে সামনে সিএনজি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হবিগঞ্জ জেলা দায়রা ও জেলা জজ মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী গত ১৮ অক্টোবর নালিশকারীর দরখাস্ত ও জবানবন্দি পর্যালোচনা করে নবীগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা এফআইআর করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিন কার্যদিবসের মধ্যে মামলা রুজু করে প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদীর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, মামলার সাক্ষীদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করে এবং হুমকি দেয়া হচ্ছে। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়াতে তাদের লোকজন দিয়ে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি নিজ বাড়িতে যাওয়ার মতো সাহস পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন বলেন, আমি শুনেছি একটি নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আমি কিছুই জানি না।
ইউপি সদস্য দুলাল আহমদ বলেন, এমন ঘৃণিত কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, মামলাটি আদালতের আদেশে প্রক্রিয়াধীন আছে। এফআইআরের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।