গরু চোর সন্দেহে ভারত সীমান্তের ভেতর রনজিত রিকমন (৩৬) নামে এক জুড়ীরর এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয়রা। অপর একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভারতের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।
নিহত রনজিত রিকমন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ধামাই বাজার টিল্লা এলাকার রশিক লাল রিকমুনের ছেলে।
আহতরা হলেন- জুড়ী উপজেলার কুচাই চা বাগানের মৃত গাজু মুন্ডার ছেলে মলোন মুন্ডা (৪০)। অন্য দুইজন হলো ভারতের করিমগঞ্জের পাথারকান্দি থানাধীন পুতনি চা-বাগানের প্রদীপ তাঁতি (৪৭) ও উমাশঙ্কর কৈবর্ত ওরফে মায়ো (৪০)।
আহতদের ভারতের পাথারকান্দি সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মে ভারতের করিমগঞ্জের পাথারকান্দি থানাধীন পুতনি চা-বাগানে গরুচোর সন্দেহে চারজনকে পাকড়াও করেছিলেন স্থানীয় জনগণ। ঘটনাস্থলেই একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এলাকাবাসী ও অন্য তিনজন আহত হয়।
ঘটনার পর পাথারকান্দি পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আহতদের পাথারকান্দি সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় ও নিহতের লাশ হাসপাতালে রাখা রয়েছে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী বিএসএফ জুড়ী লাঠিটিল্লা বিজিবি ক্যাম্পে এ খবর জানালে এলাকায় তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর বিএসএফের দেওয়া তথ্যে নিহত ব্যক্তির নাম রুবেল থাকার কারণে বিজিবি পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে বুধবার তাদের ছবি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে গিয়ে পুলিশ পরিচয় সনাক্ত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যনের মাধ্যেম।
বিজিবির বরাত দিয়ে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিচয় সনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছিল। কারণ একেকবার একেক ঠিকানা বিএসএফ বিজিবিকে দিয়েছিল। পরে আমরা ছবি নিয়ে এলাকায় এলাকায় ঘুরে বুধবার তাদের পরিচয় সনাক্ত করেছি। লাশ এবং আহত বাংলাদেশিকে ফেরত আনার জন্য বিজিবি বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করছে।
লাটিটিলা বিজি ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন জানান, পরিচয় খুঁজতেই আমাদের তিনদিন চলে যায় কারণ বিএসএস থেকে প্রাপ্ত ঠিকানায় ভুল ছিল। তাই কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না । আজ আমরা পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি লাশ দ্রুত আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।