শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

জুড়ীতে দিনভর শিক্ষা কর্মকর্তা অবরুদ্ধ, ঘুষের টাকা জব্দ
জুড়ী প্রতিনিধি

জুড়ী প্রতিনিধি



বিজ্ঞাপন

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও কমিটির সদস্যবৃন্দ তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। মঙ্গলবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় ওই কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘুষের সতের হাজার টাকা জব্দ করে জুড়ী থানা পুলিশ।


উপজেলার শাহপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসাটি অতিসম্প্রতি এমপিওভুক্ত হয়। মাদ্রাসার ১৩ জন শিক্ষক কর্মচারীর কাগজপত্র চলতি মাসের ৪ তারিখের মধ্যে পাঠানোর কথা থাকলেও আমরা যথা সময়ে পাঠাতে পারিনি। পরে সময় বাড়িয়ে ২১ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে তা পাঠানোর কথা বলা হয়। আমরা ৫-৬ তারিখে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কাগজপত্র জমা দেই। তাড়াহুড়ো করে জমা দিতে গিয়ে কাগজে বেশ কিছু ভুল হয়ে যায়। আমরা শিক্ষা অফিসার মোঃ গোলাম সাদেককে বিষয়টি অবগত করে সে গুলো না পাঠাতে বলি। গত শনিবার হুট করে শিক্ষা অফিসার মাদ্রাসায় গিয়ে জনপ্রতি পনের হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। আমরা উনাকে পনের হাজার টাকা দেই।

তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সকালে খবর পেলাম শিক্ষা অফিসার এ প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক শিক্ষকের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা খেয়ে আমাদের ভুল কাগজগুলো জেলা শিক্ষা অফিসে অনলাইনে পাঠিয়েছেন। আমরা সকালে দ্রুত অফিসে আসার পথে দেখতে পাই শিক্ষা অফিসার চলে যাচ্ছেন। একপর্যায়ে উনাকে জোর করে অফিসে নিয়ে এসে ভুল ফাইলগুলো বাতিল করতে বলি। তিনি এ কাজের জন্য ত্রিশ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা উনাকে সতের হাজার টাকা দিলে এই টাকাগুলো তিনি অফিস ক্লার্ক আব্দুল সহিদের নিকট দিয়ে দেন। কিন্তু পাঠানো ভুল ফাইলগুলো বাতিল করেননি। এ জন্য আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখি। বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেই। সন্ধ্যায় জুড়ী থানার পুলিশ টাকাগুলো জব্দ করে নেয়।


অভিযুক্ত জুড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম সাদেক ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেদককে বলেন, উনারা জোরপূর্বক আমাকে টাকা দিতে চান, আমি নিইনি। উনারা আমাকে অপমান অপদস্থ করেন, আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। একটি ফাইল পাঠাতে ঘন্টাখানেক সময় লাগে। আজ (মঙ্গলবার) সকালে ভুলবশত ৭টি ফাইল চলে যায়। এগুলো বাতিল করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেছি। তিনি ব্যস্ত আছেন। রাতে ফাইলগুলো বাতিল করার কথা বলেছেন।

জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, সতের হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো দুদকে পাঠিয়ে দেয়া হবে।