হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সরকারি সহায়তার অর্থ প্রদানের খসড়া তালিকায় নিজের স্বজন ও সমর্থকদের নাম দেয়া ও অসংখ্য নামে ৪টি মোবাইল নাম্বার ব্যবহারের অভিযোগে মুড়িয়াউক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাইকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাবাসী।
এ সময় চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। আজ রাতেই তিনি সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেন।
লাখাই উপজেলায় সরকারী সহায়তার নগদ টাকা বিতরণের খসড়া তালিকা প্রণয়ণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে তালিকা যেহেতু চুড়ান্ত হয়নি অভিযোগটি খতিয়ে দেখে অসংগতি পাওয়া গেলে সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তালিকা এখনও খসড়া পর্যায়ে রয়েছে।
অসঙ্গতি থাকলে চুড়ান্ত হওয়ার আগেই তা ধরা পড়বে। কেউ যদি দুর্নীতির উদ্দ্যেশ্যে অসঙ্গতি করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে। এ ব্যাপারে তদন্ত করতে আমি ডিডি এলজিইডিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি আজই তদন্ত শুরু করেছেন।
জানা যায়, লাখাই উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৭শ’ ২০ পরিবারকে নগদ আড়াই হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে লাখাই ইউনিয়নে ১ হাজার ১৯৪ জন, মোড়াকরি ১ হাজার ১১৩, মুড়িয়াউক ১ হাজার ১৭৬, বামৈ ১ হাজার ২৪৬, করাব ১ হাজার ৬ ও বুল্লা ইউনিয়নে ৯শ‘ ৮৫ জ কে এ সহায়তা প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কাছে খসড়া তালিকা জমা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
অভিযোগ উঠে, মুড়িয়াউক ইউনিয়নে ৪টি মোবাইল নম্বর ব্যবহার হয়েছে ৩শ‘ ৬ জনের নামের পাশে। আর এ নম্বরগুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাইয়ের স্বজনদের। এছাড়া তালিকায় অনেক ভুয়া নাম ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।