শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

হবিগঞ্জে আব্দুল কদ্দুছ হত্যা: ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আসামিরা
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের সুখচর গ্রামে দিনমজুর আব্দুল কদ্দুছ (৫৫) হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও আসামিরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। ফিকলের (বল্লম) আঘাতে মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন আসামিকেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিবাদীরা প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মামলার অন্যতম আসামি ভুলু দাস (৫৫) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মামলা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন।


উল্লেখ্য, গত ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হবিগঞ্জ উপজেলা সদরের সুখর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ফিকলের (বল্লম) আঘাতে আব্দুল কদ্দুছ (৫৫) নিহত হন। নিহত আব্দুল কুদ্দুছ মৃত টেকাই মিয়ার ছেলে। সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুন্দর নেছা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

নিহতের ছেলে বিল্লাল মিয়া বলেন, মামলা করেও আমরা বেকায়দায় পড়েছি। আমার বাবাকে হত্যার দিন থেকেই পুলিশ কোনো আসামি গ্রেফতার না করে বিবাদীদের রক্ষা করতে উল্টো আমাদের বাড়িতে পরপর ১৫ দিন অবস্থান নেয়। আসন্ন পূজায় বিবাদীরা আমাদের গ্রামে থাকা মন্দিরে ভাঙচুরসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে আমাদের হয়রানি করতে পারে।

সুখচর গ্রামের মুরব্বি মলাই মিয়া জানান, সুখচর গ্রামে প্রায় ১০০ হিন্দু পরিবারের বসবাস। নিহত আব্দুল কদ্দুছ খুবই ভালো লোক ছিল। এমনকি তার যৌথ প্রচেষ্টায় এই গ্রামে একটি মসজিদও নির্মাণ করা হয়েছে। আর কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর আক্রমণ তো দূরের কথা, সে কখনো কাউকে কটূক্তিও করেনি। তিনি হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


একই গ্রামের দিনমজুর আব্দুল হামিদ বলেন, আব্দুল কদ্দুছ হত্যা মামলার আসামিরা খুবই প্রভাবশালী। তারা ভুয়া দলিল তৈরি করে আমার অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমি কোনো বিচার পাইনি। উল্টো ব্লেড দিয়ে নিজেদের শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এর দায়ে আমাকে এক মাস জেল খাটিয়েছে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মাসুক আলী বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।