মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে একটি কারখানাসহ পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় জুড়ী কামিনীগঞ্জ বাজারস্থ ইমরুল মার্কেটে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত প্রায় ৯টায় পাকা-টিন শেড মার্কেটের ইদ্রিস ফল ভান্ডারের পিছনের ঘরে আগুন দেখা যায়। মুহুর্তেই পুরো মার্কেটে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দা ও পথচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টায় কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পনের মিনিট পরে বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট যোগ দেয়। ঘন্টা খানেক প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদারের নেতৃত্বে জুড়ী থানার সকল পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিল।
মার্কেট মালিক ইমরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে যাই। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও সঠিক তথ্য পাইনি। মার্কেটের পিছনে তাঁর মালিকানাধীন বন্ধ থাকা আগর-আতরের কারখানার সরঞ্জাম ও মার্কেটসহ তাঁর প্রায় বিশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
মার্কেটের ব্যবসায়ী জুড়ীর বৃহৎ ফলের আড়ৎ ইদ্রিস ফল ভান্ডারের প্রায় ৮ লাখ টাকা, জামাল ফার্ণিচারের প্রায় ২ লাখ টাকা, সানরাইজ এস এস এর প্রায় ৩ লাখ টাকা, জুড়ী ইলেক্ট্রনিক্সের প্রায় ৭ লাখ টাকা এবং গিয়াস মিয়ার প্রায় ২৫হাজার টাকাসহ মোট ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা যায়।কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলায়েত হোসেন জানান, অগ্নিকান্ডের কারণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করব এবং তদন্ত কমিটি করে অগ্নিকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুড়ীতে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কাজ যাতে দ্রুত হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।