রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বানিয়াচংয়ে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে অভিযান, শতাধিক অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে জেলা ছাত্রলীগ নেতা ও ইউপি মেম্বারের সমর্থকদের সংঘর্ষে শতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অন্তত ৩০ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে আনে।


পরে ওই ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি, শতাধিক দেশীয় অস্ত্র ও সংঘর্ষে ব্যবহৃত ঢাল উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা ইউপি মেম্বার কাজী জানে আলম এবং জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তোফাজ্জল হক তালুকদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল।

এদিকে বুধবার গ্রামের কয়েকজনের শিশুর মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি রাতে মিমাংসা করে দেন ইউপি মেম্বার কাজী জানে আলম। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জল তালুকদারের লোকজনের হামলায় ইউপি মেম্বার জানে আলম আহত হন। গ্রামে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে শতাধিক মানুষ আহত হয়। তাদের মধ্যে টেটাবিদ্ধ কাজী আব্দাল মিয়া, কাজী আব্দুল্লাহ, কাজী বেনু মিয়া, কাজী কবির আনছারী, স্বপন মিয়া, আবুল খায়ের, সালমান মিয়া, তোফায়েল মিয়া, ইউপি মেম্বার কাজী জানে আলম, বাছির মিয়া, কাজী মাছুম, কাজী নোমান, কাজী মনির, শামীম মিয়া, কাজী জুয়েল, ফারুক মিয়া, ফখরুল মিয়া, উজ্জ্বল মিয়া, নোমান মিয়া, সালেক মিয়া, সোহেল মিয়া ও রাহাত মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মাঝে ৮ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা ও সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম ও সুজাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ দ্রুতবেশ চক্রবর্তীসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম জানান, ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জল হক তালুকদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বিছানার নিচ থেকে একটি দেশীয় তৈরী পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে হয়েছে। এছাড়া গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে শতাধিক টেটা, ফিকলসহ দেশীয় অস্ত্র ও ঢাল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে। তবে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।