হবিগঞ্জে চেক ডিজঅনার মামলায় ফারুক মিয়া (৫০) নামে এক আসামি পুলিশি নির্যাতনে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি, তিনি হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন।
ফারুক মিয়া শহরের মোহনপুর এলাকার সনজব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার একদল পুলিশ শহরের মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চেক ডিজঅনার মামলার আসামি ফারুক মিয়াকে আটক করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে। এসময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে পুলিশ নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।
নিহতের ছেলে মাসুক মিয়া বলেন, ‘পুলিশ আমার বাবাকে আটকের পর থানায় নিয়ে মারধর ও নির্যাতন করে। আমি থানায় বাবাকে দেখতে গেলেও পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের নির্যাতনের কারণেই বাবার মৃত্যু হয়েছে।’
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিঠুন রায় জানান, ‘ফারুক মিয়াকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মারা যান। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাবে।’
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান, ‘ফারুক মিয়াকে কেউ নির্যাতন করেনি। তার হার্টঅ্যাটাক হয়। তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লা জানান, ‘ময়নাতদন্তের পর যদি পুলিশের নির্যাতনের বিষয়টি সামনে আসে, তাহলে অবশ্যই দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এদিকে পুলিশ হেফাজতে ফারুক মিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকাবাসী হাসপাতাল ঘিরে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।