হবিগঞ্জ সদরের যাদবপুর গ্রামে শিক্ষকের ছোঁড়া বেতের আঘাতে চোখ হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন এক স্কুলছাত্রী। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।
রোববার দুপুরে উপজেলার যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী হাবিবা যাদবপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার মেয়ে। তিনি ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারের বরাত দিয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, রোববার দুপুরে ক্লাস চলার সময় সহকারী শিক্ষক নিরঞ্জন দাশ ছাত্রীর উদ্দেশ্যে হাতে থাকা বেত ছুঁড়ে মারলে হাবিবার চোখে লাগে। এতে তার চোখ থেকে রক্তক্ষরণ হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হৈচৈ শুরু হলে স্থানীয়রা হাবিবাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় জানান, হাবিবার চোখের ভেতর আঘাত লাগায় চোখ খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চোখটি ভাল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক নিরঞ্জন দাশ জানান, ঘটনার সময় দ্বিতীয় শ্রেণির পড়া নিচ্ছিলাম। এ সময় যারা পড়া পারছিল না তাদের বেত্রাঘাত করি। কিন্তু ওই ক্লাসের দরজার সামনে কিছু শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে হৈচৈ করছিল। তাদের বারবার ধমক দেয়ার পরও সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। তাই হাতে থাকা বেত ছুড়ে মারলে সেটি হাবিবার চোখে লাগে। এটি আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে আঘাতের কোনো বিধান নেই। ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।