মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় রনি শর্ম্মা (২৮) নামে এক দোকান কর্মচারির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার টিলাগাঁও বাজারের স্টেশন রোডে ফরহাদ ট্রেডার্স নামে হার্ডওয়্যার দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রনির মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম।
রনি টিলাগাঁও ইউনিয়নের বিজলী গ্রামের রণজিৎ শর্ম্মার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রনি টিলাগাঁও বাজারের স্টেশন রোডের দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ফরহাদুল হকের দোকানে কর্মচারির কাজ করে আসছিলেন। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর পার্শ্ববর্তী দোকানদাররা রনিকে বামি করে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দোকানের মালিক ফরহাদুল হককে জানান। ফরহাদ ও রনির পিতা রণজিৎ শর্ম্মা সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁকে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পুলিশ রাত দশটার দিকে কুলাউড়া হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
দোকানের মালিক ফরহাদুল হক জানান, তিনি শুক্রবার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় একটি বিয়ে দাওয়াতে ছিলাম। বিকেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মোবাইলে জানান রনি দোকানের ভিতর বমি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। খবর পেয়ে আমি সেখান থেকে দ্রুত চলে আসি এবং রনির বাবাকে বিষয়টি অবগত করেন। সেখান থেকে সন্ধ্যার দিকে রনিকে প্রথমে রবিরবাজারে নিয়ে যাই। পরে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসি। তিনি বলেন, আমার হার্ডওয়্যারের দোকান। অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
রনির পিতা রণজিৎ শর্ম্মা বলেন, রনি আমার বড় ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে সে ওই দোকানে চাকরি করছে। গত এক বছর ধরে প্রায়ই বাড়িতে আসত না। গত পনেরো দিনের মধ্যে মাত্র একদিন ধরে রনি বাড়িতে গিয়েছিলো। বিকেল ৫টার দিকে খবর পেয়ে প্রথমে দোকানে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি তাঁকে রবিরবাজার ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি কোন ডাক্তারর চেম্বারে নেই। পরে তাঁকে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসি। তাঁর মাথার পিছনে আঘাতের কারণে অনেক বড় ক্ষত দেখা যাচ্ছে। এ জন্য বিষয়টি আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগছে।
কুলাউড়া থানার এসআই হারুন আল রশীদ বলেন, আমরা লাশের সুরতহাল করছি। রনির মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।