মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্ধুর প্রেমিকাকে তাঁর বাড়িতে মোবাইল ফোন ও প্রেমপত্র দিতে গিয়েছিলেন বসন্ত শব্দকর (২৪) নামের এক যুবক। এসময় স্থানীয়রা তাঁকে ‘ছেলে ধরা’ সন্দেহে আটক করে গণধোলাই দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পীরেরবাজার এলাকার খাতাইরপার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত বসন্ত শব্দকর কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার আলেপুর গ্রামের নরেন্দ্র করের ছেলে।
পুলিশ জানায়, কমলগঞ্জ পৌরশহরের নরেন্দ্রপুর এলাকার হবিব মিয়ার সাথে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের খাতাইরপার গ্রামের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই তরুণীর সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য একটি মোবাইল ফোন পৌঁছে দিতে হবিব তাঁর বন্ধু একই এলাকার নরেন্দ্র শব্দকরের ছেলে বসন্ত শব্দকরের সহযোগিতা চায়। বসন্ত বন্ধুর প্রেমে সহায়তা করার জন্য রোববার সন্ধ্যার দিকে হবিবের দেয়া মোবাইল ফোন ও একটি চিঠি নিয়ে ওই তরুণীর বাড়ি হাজীপুরের খাতাইর পারে আসে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন বসন্ত শব্দকরকে ছেলে ধরা হিসেবে সন্দেহ করে গণধোলাই দিতে থাকে। পরে স্থানীয় পীরেরবাজার এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বসন্তকে রক্ষা করে একটি দোকানে নিয়ে রাখেন এবং কুলাউড়া থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ বসন্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কুলাউড়া থানার এসআই কানাই লাল চক্রবর্তী জানান, বসন্ত জিজ্ঞাসাবদে জানান তাঁর বন্ধু হবিবের প্রেমিকাকে মোবাইল ফোন ও চিঠি দিতে এসেছিলেন। এ সময় ছেলে ধরা সন্দেহে স্থানীয়রা তাকে মারধর। আমরা খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।