মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ :: দুই পাশে হাওর। বিস্তৃর্ণ ধানক্ষেত। ধানক্ষেতের মধ্যখান দিয়ে চলে গেছে একটি সড়ক। নবীগঞ্জ উপজেলার গুজাখাইর-চানপুর সড়ক নামে পরিচিত এটি। এই সড়কের চানপুর খালের উপর ১০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিলো একটি সেতু। ১০ বছর ধরেই সংযোগবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে এটি। দেখলে মনে হয় যেনো শূন্যের উপর দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি। স্থানীয়দের কাছে এটি পরিচিত ‘উড়াল সেতু’ নামে। সেতুর সংযোগ সড়ক ১০ বছরেও না হওয়ায় নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার হাজারও মানুষকে চলাচলে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
জানা যায়, বর্ষাকাল ছাড়া নবীগঞ্জ এবং বানিয়াচং উপজেলার লোকজন প্রতিদিন এই সেতুর নিচ দিয়েই চলাচল করেন। যাতায়াতের পাশাপাশি হাওর থেকে থেকে কৃষকদের ফসলও আনা হয় এই সড়ক দিয়েই। তবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বর্ষাকালে। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। আবার নিচে পানি থাকায় নিচ দিয়েও চলাচল করা যায় না।
চানপুর গ্রামের আব্দুর রউফ জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার এই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে অনেকের দ্বারস্থ হলেও তেমন সাড়া মেলেনি।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষাকালে ধানসহ মালামাল নিয়ে এখানে এসে গাড়ি থেমে যায়। পরে নৌকায় করে খাল পাড় করে ফের গাড়িতে তুলতে হয়। এতে শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি ধানেরও ক্ষতি হয় বলে জানান তিনি।
ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী বানিয়াচং উপজেলার তফিক মিয়া বলেন, নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা এসে ওয়াদা করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। হাজারো মানুষের দুর্ভোগে কেউ এগিয়ে আসেন না বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার গুজাখাইর, বেগমপুর, উরমপুর ও দুর্গাপুর এবং বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা, চানপুরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের চলাচল এই সড়ক দিয়ে। তবে সেতুটি বানিয়াচং না নবীগঞ্জ উপজেলার আওতায় পড়েছে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো।