রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

কুলাউড়ায় ‘খোকন’ যখন ‘দিলারা বেগম’!
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে প্রথমবারের মতো জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড হাতে পান মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা মো. খোকন। কিন্তু একি! নামধাম ঠিক থাকলেও তার পরিচয়পত্রে যে এক নারীর ছবি। আবার স্বাক্ষরের জায়গায় তার বদলে ‘দিলারা বেগম’ নামে এক নারীর! বিষয়টি যারপরনাই হতবাক করেছে খোকনকে।

শুধু খোকন নন, ওইদিন কুলাউড়ার যেসব বাসিন্দা তাদের স্মার্টকার্ড হাতে পেয়েছেন তাদের অনেকেই এমন ভুলের শিকার হয়েছেন। কারো কারো তো জন্মস্থান এক জেলা থেকে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, একজনের জন্মস্থান মৌলভীবাজার হলেও স্মার্টকার্ডে লেখা হয়েছে মানিকগঞ্জ। এ ছাড়া, কারও কারও ক্ষেত্রে জন্ম তারিখে ভুল, তো কারও বাবার নামের শেষে যুক্ত হয়েছে ‘বেগম’।

জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল থেকে কুলাউড়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।

পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. খোকনের পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্রে সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু নতুন পাওয়া স্মার্টকার্ডে নাম-ঠিকানা ঠিক থাকলেও নিজের ছবির জায়গায় ‘দিলারা বেগম’ নামে এক নারীর ছবি ও স্বাক্ষর দেওয়া আছে।

খোকনের কার্ডের ছবি ও স্বাক্ষরের ওই নারী একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলারা বেগম। ত‌বে দিলারা বেগমও তার কার্ড পেয়েছেন এবং সেখানে কোনো ভুল নেই।

পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও প্রবীণ মুরুব্বি মো. আবদুল আউয়ালের বাংলা নাম সঠিক হলেও ইংরেজি নামে ভুল।

পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবির আহমদের স্মার্টকার্ডে জন্মস্থান মৌলভীবাজারের স্থলে মানিকগঞ্জ লেখা হয়েছে।

এ ছাড়াও পৌরশহরের আরেক বাসিন্দা শামছুন্নাহার বেগমের স্মার্টকার্ডে বাবার নাম ‘আবদুল মতিন বেগম’ দেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবির আহমদের স্মার্টকার্ডে জন্মস্থান মৌলভীবাজারের স্থলে মানিকগঞ্জ লেখা হয়েছে।

৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাসলিমা সুলতানা নামে একজনের জন্ম তারিখের সাল ১৯৯৪ সালের বদলে ১৯৩৫ লেখা হয়েছে। আবার নিবন্ধন করা সত্ত্বেও পুরোনো জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা অনেকেই নতুন স্মার্টকার্ড পাননি।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. ইকবাল আহসান জানান, ভুল নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। কেননা প্রথমদফা স্মার্টকার্ড উপজেলাব্যাপী বিতরণ শেষ হলেই সংশোধনের কাজ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সার্ভার কেন্দ্রের মাধ্যমে সব ভুলের সংশোধন করা হবে।

এদিকে প্রবাসী-অধ্যুষিত কুলাউড়া উপজেলায় দেশের বাইরে অবস্থানরতদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। বিদেশ থেকে দেশে আসার পর যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তারা সেটি জমা দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে পারবে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়। যারা অসুস্থ নির্দিষ্ট তারিখে নিতে পারেননি, তারাও পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে কার্ড গ্রহণ করতে পারবেন।

জানা গেছে, কুলাউড়ায় উপজেলায় জাতীয় পরিচয়পত্রের স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ৯ এপ্রিল থেকে। প্রথমে কুলাউড়া পৌরসভায় এবং পরবর্তীতে আগামী ১৫ এপ্রিল থে‌কে ধারাবাহিকভাবে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে। চলতি বছরের ১ জুলাই পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ চল‌বে। কুলাউড়া উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৪টি স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে।