একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ না নিলেও শপথ নেবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। তবে সরাসরি বিএনপি থেকে নির্বাচন করিনি। আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে কেউ বের করে দেয়নি। আর আমি কোনো দলে যোগদানও করিনি। গণফোরাম থেকে নির্বাচনে গেছি। কারণ গণফোরামে বঙ্গবন্ধুর চিন্তার মিল আছে। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমি বঙ্গবন্ধুর, আমি জনগণের। যে জনগণ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তাদের কাছে আমি দায়বদ্ধ। আমি গণতন্ত্রের কাছে দায়বদ্ধ, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দেশের মানুষের কাছে দায়বদ্ধ।’ গতকাল এ কথা বলেছেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।
তার কাছে প্রশ্ন ছিল, ‘গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতরা শপথ নেবেন না। বিএনপিও সংসদে যাবে না। কিন্তু সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে আপনি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এখন কার?’ অট্টহাসি দিয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমি জনগণের। আমি দায়বদ্ধ আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘আমার এলাকার ভোটারদের কথা ভাবতে হবে। তারা কেন আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তাদের জন্য কাজ করতেই আমাকে সংসদে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো বলিনি শপথ নেব না। গণফোরামের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনও বলেছেন, শপথ নেওয়ার ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক। এর বাইরে অন্যরা কে কী বলছেন, তা আমি জানি না।’
তিনি বলেন, সময় তো আছে, তাড়াহুড়ার কিছু নেই। ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিলেই হবে। সুলতান মনসুর বলেন, “বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তো সবাই আলাদা দল। আমাদের সিদ্ধান্ত ‘অবশ্যই পজিটিভ’ হবে।’’ তিনি বলেন, ‘আমি গণফোরামে গেছি দলের নেতা ড. কামাল হোসেনকে দেখে। তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করেন। তার সততা, দক্ষতা ও দেশপ্রেম নিয়ে কারও প্রশ্ন নেই।’
তিনি বলেন, ‘‘আমি তো বঙ্গবন্ধুর অনুসারী সুলতান মনসুর সবাই জানে। গণফোরামকে তো অশ্রদ্ধা করব না। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আমি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হলেও ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ নিবন্ধনকৃত দল নয়। সে কারণে নিবন্ধনকৃত দলের হয়ে নির্বাচন করতে হবে। সে কারণে আমি গণফোরামের তালিকা হয়েই গেছি। বিএনপি বা অন্য কোনো দলে যাইনি। যদি গণফোরাম করতাম তাহলে প্রেসিডিয়াম সদস্য বা সাধারণ সম্পাদক হয়েই থাকতাম। আবারও বলতে চাই, আমি জনগণের। আওয়ামী লীগ ছাড়িনি, বহিষ্কারও হইনি। অন্য কোনো দলেও যোগ দিইনি।’’