সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নিহত নুরু মিয়ার (৩৫) লাশ ছয় দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
রোববার দুপুর ৩টায় বিএসএফ ও বিজিবির উচ্চপর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি ছয় দিন পর ফেরত দেয়া হয়।
নিহত নুরু মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলোনি গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার পুত্র।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাঁশতলা ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মো. দেলোয়ার হোসেন ও দোয়ারাবাজার থানার এসআই সজিব দত্ত এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চেলা ক্যাম্পের কমান্ডার এসি বিপুর সাইকা।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশিল রঞ্জন দাস জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষ হলে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে দোয়ারাবাজারের বাঁশতলা সীমান্তের ভারতে প্রবেশ করে সুপারি চুরির অভিযোগে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে নুরু মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে বাংলাদেশির মরদেহটি ভারতীয় বিএসএফ’র নিকট হস্তান্তর করেন খাসিয়ারা।