মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রকাশ্যে হাকিমা বেগম (২৯) নামে এক গৃহবধূকে উপর্যুপরি কুপিয়েছেন তার স্বামী। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ওই গৃহবধূর হাতের চারটি আঙুল। তার হাতের কব্জিতে এবং মাথায় দায়ের কোপ রয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে কুলাউড়া পৌর শহরের দক্ষিণবাজারে ডাক ঘরের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহত হাকিমা বেগম কুলাউড়া উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের রঙ্গীরকুল গ্রামের মর্তুজা হোসেনর ছেলে শাহ আমানত হোসেনের স্ত্রী। তাঁর বাবার বাড়ি একই উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়ইছড়া নতুন বস্তিতে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুপুরে হাকিমা বেগম বাবার বাড়ি যাওযার উদ্দেশে স্বামীর বাড়ি থেকে রওনা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছোট ভাই ও বোন ছিলেন। রঙ্গীরকুল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কুলাউড়া শহরের উত্তরবাজারে এসে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে শহরের দক্ষিণবাজারে বাসস্ট্যান্ডে রওনা দেন।
দক্ষিণবাজারে ডাকঘর অফিসের সম্মুখ সড়কে পৌঁছানো মাত্র পেছন থেকে দা হাতে তেড়ে আসেন তার স্বামী আমানত। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন হাকিমাকে। এ সময় পার্শ্ববর্তী সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের চালক ও স্থানীয়রা এসে আমানতকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাস্থলেই দায়ের কোপে হাকিমার দুই হাতের চারটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহতবস্থায় হাকিমাকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাকির হোসেন বলেন, হাকিমা বেগমের মাথায় চারটি দায়ের কোপ রয়েছে। এছাড়াও হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন ও হাতের কব্জিতে দায়ের কোপ রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
কুলাউড়া থানা পুলিশের এসআই মো. খালেদ হোসেন বলেন , আমানত তাঁর স্ত্রীকে কী কারণে কুপিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত করে বিষয়টি জানা যাবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।