একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপির বদলে মহাজোটের শরিক দলের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়ার গুঞ্জন উঠেছে। শুক্রবার গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেন সদ্য বিএনপি থেকে বিকল্পধারায় যোগদানকারী অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সুনামগঞ্জ-১ আসনে মহাজোটের তিনি প্রার্থী হচ্ছেন বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ৫টি আসন আওয়ামী লীগ যুক্তফ্রন্টকে দিয়েছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ-১ আসনে তিনি, মৌলভীবাজার-২ আসনে এমএম শাহিন, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে মাহী বি চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মেজর অবসরপ্রাপ্ত এমএ মান্নান, নীলফামারী-১ আসনে জাবেল রহমান গানী যুক্তফ্রন্ট থেকে মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিকল্প ধারা মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সদ্য বিএনপি ছেড়ে বিকল্প ধারায় যোগ দেয়া ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪ হাজার ৪৯৮ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নিকট পরাজিত হন। পরবর্তী ২০১৪ সালে বিএনপি বিহীন নির্বাচনে ফের মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের এমপি রতন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
ডা. রফিকের মনোনয়নপত্র দাখিল ও প্রার্থিতার ব্যাপারে সরব প্রচারণায় ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত মহাজোটের শরিক দল বিকল্প ধারার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের কারণেই কী বদলে যেতে পারে সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি রতনের প্রার্থিতা? এমন প্রশ্নই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বাজারের চায়ের দোকানে চাউর হচ্ছে।
তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ডা. রফিকের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এ আসনে পরপর দু’বারের নির্বাচিত এমপি।
শেষ সময়ে তার প্রার্থিতা পরিবর্তন একেবারেই অমুলক। এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমপি রতন না মহাজোট থেকে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. রফিক নির্বাচনী মাঠে থাকবেন তা জানতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপির বক্তব্য জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, পুনঃতফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিলো গত ২৮ নভেম্বর বুধবার। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।