রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

জৈন্তাপুর থেকে জগন্নাথপুরের লন্ডন প্রবাসীর লাশ উদ্ধার, আটক ৩
ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট



বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের পৌর এলাকার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য (লন্ডন) প্রবাসী আব্দুল গফুরের লাশ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামটিলায় খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল রোববার বিকাল ৪টায় জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাটে অভিযান পরিচালনা করে ৩ জনকে আটক করেন। ।

আটককৃতরা হলেন- জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রের অফিস সহায়ক সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর সদর ব্রাহ্মণগাঁও উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মর্তুজ আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৫২), তার জামাতা জৈন্তাপুর দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার দত্তেরকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) এবং জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মোকামটিলা গ্রামের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে মো. জুনাব আলী(৪২)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল গফুর ২০১৭ সালে দেশে আসেন। । সিলেট দরগা এলাকায় পরিচয় হয় জৈন্তাপুর উপজেলাধীন সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহায়ক আবুল কালামের সাথে। ২০১৭ সালের ৮ মে আবুল কালাম তার বন্ধু জগন্নাথপুর গ্রামের নুরুল হককে সিলেটের দরগা মহল্লাস্থ ‘রাজরানী হোটেল’- এ দেখা করার অনুরোধ করেন। কিন্তু পারিবারিক ব্যস্ততায় নুরুল হক দেখা করতে পারেননি। এদিকে দেশে আসার পর আব্দুল গফুরের খোঁজ না পেয়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে তার খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে গফুরের ভাতিজা লাল মিয়া একটি মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামেন জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার মাধ্যমে চেষ্টা চালিয়ে যান এবং এক পর্যায়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ঘটনার কথা স্বীকার করেন এবং আব্দুল গফুরের লাশ মাটিচাপা দেওয়ার স্থানটি পুলিশকে দেখিয়ে দেন। পুলিশ স্থানটিতে লাল পতাকা লাগিয়ে চিহ্নিত করে রাখে এবং পাহারাদার নিযুক্ত করে। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ সিলেটের দরগা মহল্লাস্থ হোটেল রাজরানী থেকে নিহত আব্দুল গফুরের ব্যাগ উদ্ধার করে এবং আবুল কালামের বাড়ি থেকে প্রবাসীর পাসপোর্ট উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদায়ক হত্যাকান্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং মূলহোতাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে টাকার লোভে প্রবাসীকে হত্যা করে লাশ জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামটিলায় মাটিচাপা দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ পেলে আমরা লাশ উত্তোলন করব।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ওসি খান মো. মাইনুল জাকির বলেন, ঘটনার কারণ এবং মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে জৈন্তাপুর ও জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়। ইতোমধ্যে রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলাসহ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপশি অন্যান্য জড়িতদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।