একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর স্ত্রী সৈয়দা সায়েরা মহসীন এবং তাঁর ছোট ভাই সৈয়দ লিয়াকত আলী। এই আসনে একই পরিবারের দেবর-ভাবি দুই জনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দলের ও স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে সৈয়দা সায়রা মহসিন বলেন, আমার দেবর এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনলেও তিনি তো সঙ্গে দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই আসন থেকে ৮ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন, জমাও দিয়েছেন। তবে মনোনয়নপত্র যে কেউ চাইতে পারে, এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
অন্যদিকে সৈয়দ লিয়াকত আলী বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর যখন এই আসনটি শূন্য হয়, আমি তখনই এ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনের অনুরোধে তখন ভাবিকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। ঐক্যফ্রন্ট থেকে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের ছেলে এম নাসের রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি শক্তিশালী প্রার্থী। আওয়ামী লীগের এ আসন রক্ষা করতে হলে ভোটের মাধ্যমেই জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। তার জন্য আমি মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিয়েছি। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর এই শূন্য আসনে ভাবি বিনা ভোটে জয়লাভ করছেন। এবার তো সেই আগের মতো না। আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী আমার হাতে নৌকার দায়িত্ব তুলে দিবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে এ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে মৌলভীবাজার-৩ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে উপনির্বাচনে তার স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসিনকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বি নির্বাচিত হন।
প্রসঙ্গত, পুনঃতফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। আর ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।