হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী ও তাঁর ভাই সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফজলে আলীকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও কমিটির সভায় অনুপস্থিত থাকায় কারণ দর্শাতে তাদের নোটিশ দেয়া হবে। নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান।
তিনি জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান এমপির সঞ্চালনায় সভায় আগামী সংসদ নির্বাচনে জেলার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদারকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়করা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ আরব আলী, মোহাম্মদ আলী টিপু, শেখ সামছুল হক, অ্যাডভোকেট আবুল ফজল, শরীফ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, মুকুল আচার্য্য ও আব্দুল কাদির চৌধুরী। পাশাপাশি নির্বাচনে দলীয় এজেন্ট এবং কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য ৮ জন মাস্টার ট্রেইনারের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার জানান, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি ও তার ভাই অ্যাডভোকেট ফজলে আলী বিগত ৫ বছর যাবত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত হননি। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরপর ৩ সভায় না আসলেই সদস্য পদ বাতিল হওয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়াও সভায় দলের বিরুদ্ধে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আলোচনা করা হয়।
সভায় বিগত পৌর নির্বাচনে হবিগঞ্জ পৌরসভায় দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বপদে বহালের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।