সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় উদ্ধার অজ্ঞাত কিশোরীর লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম রুমি আক্তার (১৬)। সে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার আউতপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ষক শফিক মিয়াসহ (৩২) ৪জনকে টাঙ্গাইল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত ধর্ষক শফিক মিয়া বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওয়াব উল্লাহর ছেলে।
এ উপলক্ষে ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ২টায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদোহা বলেন, ধর্ষক শফিক মিয়া পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা দায় স্বীকার করে জানায়, ধর্ষণ শেষে কিশোরী রুমি আক্তারকে একটি খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে লাশ রাস্তা পাশে ফেলে দেয়।
ওসি জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের একি বাড়ির রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে এ হত্যা রহস্য উদঘাটন করা হয়। তিনি জানান, আটক শফিক টাঙ্গাইলের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। ওই ফ্যাক্টরি থেকেই তাকে আটক করা হয়। এর আগে সে আরও ৪টি বিয়ে করেছে। বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত গণধর্ষণ মামলারও পলাতক আসামি শফিক।
ওসি বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই জেলার মির্জাপুর থানার আতাউর রহমানের মেয়ে রুমি আক্তার। একই হাসপাতালে শফিকের শাশুড়িও চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের অভিনয় করে রুমিকে সিলেট নিয়ে আসে শফিক। এরপর তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। রুমিকে হত্যার দৃশ্য শফিকের এক ভাবি দেখে ফেলেন বলেও জানান ওসি। বৃহস্পতিবার শফিককে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।