সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

মার্কিন প্রশাসনে তোলপাড়: কে লিখেছে ওই মতামত?
তথ্যসূত্র: বিবিসি

তথ্যসূত্র: বিবিসি



বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ করে লেখা মতামতের দায় স্বীকার করছেন না কোনো মার্কিন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে তারা স্বতন্ত্রভাবে জানিয়ে দেন, ওই বেনামী মতামতের লেখক তারা নন।

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পাতায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আক্রমণ করে একটি মতামত (ওপ-এড) প্রকাশিত হয়। ওই মতামতের লেখক একজন উচ্চ পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা বলে দাবি করা হয়। তবে মতামতের লেখকের কোনো নাম দেওয়া হয়নি।

মতামতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিয়োগকৃত ব্যক্তিরা তাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।

মতামতটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তা কে লিখেছে তা নিয়ে বিশদাকারে অনুমান-আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার যারা ওই মতামতের দায় অস্বীকার করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও।

মাইক পেন্স ওই অনুচ্ছেদটি লিখেছেন এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তার মুখপাত্র অনুচ্ছেদটিকে ‘মিথ্যা, যুক্তিহীন ও কাপুরুষোচিত’ বলে উল্লেখ করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই মতামতের লেখককে ‘কাপুরুষ’ এবং ওই পত্রিকাকে ‘ভণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই মতামতটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করেছে।’

বেশ কয়েকজন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাও ওই মতামতটি লেখার দায় অস্বীকার করেন।

ওই বেনামী লেখককে আক্রমণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ‘আমার কাছে স্পষ্ট কথা। আপনি যদি কমান্ডারের আদেশ বাস্তবায়ন করতে না পারেন আপনার কাছে একটিই পথ খোলা আছে- বিদায় নেওয়া।’

অর্থমন্ত্রী স্টেভেন মনুচিন মতামতটিকে ‘দায়িত্বহীন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টজেন নিয়েলসনও ওই মতামতের দায় অস্বীকার করেন।

কী আছে ওই সাড়া জাড়ানো মতামতে?
‘আই অ্যাম পার্ট অব দ্য রেজিস্ট্যান্স ইনসাইড দ্য ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ অর্থাৎ ‘ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতর প্রতিরোধের একটি অংশ আমি’ নামের ওই মতামতটি কে লিখেছে তার নাম প্রকাশ না করে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এটি লিখেছেন, যিনি তার নাম প্রকাশ করতে চান না এবং পাঠকদের কাছে ‘গুরুত্বপূণ দৃষ্টিকোণ’ পৌঁছে দেওয়ার জন্য এটি প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ওই মতামতে বলা হয়, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তার এজেন্ডা ও নিকৃষ্ট অভিলাষ ব্যর্থ করার জন্য অধ্যবসায় করে যাচ্ছেন।’

‘আমি জানি। আমি তাদের মধ্যে একজন।’

ওই মতামতের লেখক জানান, তারা প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করেন। তাদের মতে, প্রেসিডেন্টের চেষ্টা সত্ত্বেও প্রশাসন তাদের সফলতা অর্জন করছে।

মতামতে প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘আবেগতাড়িত’, ‘অনিশ্চিত গতিসম্পন্ন’, ‘নৈতিকতাহীন’ এবং ‘ভুল পথে চালিত তাড়নাসম্পন্ন’ ব্যক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তাকে ‍যুক্তরাষ্ট্রের মঙ্গলের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলে মতামতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, ‘এই বিশৃঙ্খল সময়ে এটি হয়তো সামান্য সান্ত্বনা, তবে আমেরিকানদের মনে রাখতে হবে প্রশাসনে এখনো প্রবীণরা রয়েছেন। যা ঘটছে তার সব কিছু আমরা স্বীকার করি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভুল তখনও আমরা যা সঠিক তাই করার চেষ্টা করি।’