বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

আরও নারী হত্যায় জড়িত বিশ্বনাথের শফিক
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

ঘাতক শফিক ও তার হাতে খুন হওয়া ২ নারী

বিশ্বনাথ উপজেলায় রুমী আক্তার নামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার শফিক মিয়া আরও কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। একের পর এক নারীকে নানা প্রলোভনে নিয়ে এসে ধর্ষণের পর হত্যা করাই তার নেশা ছিলো বলেও দাবি পুলিশের।

রোববার দুপুরে প্রেস-ব্রিফিং করে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, সিলেটের বিশ্বনাথের আশুগঞ্জে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সকল অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তার বেশিরভাগই শফিক ঘটিয়েছে। তাছাড়া ওই এলাকায় অজ্ঞাতনামা যেসকল নারী হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডে ওই শফিকের হাত রয়েছে।

শফিক মিয়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত উহাব উল্লার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ছাতকের কলেজছাত্রী ধর্ষণের মামলায় পলাতক থাকাকালীন গত ১০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল থেকে রুমী নামের এক কিশোরীকে তার বাড়িতে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করে শফিক। পরে এ ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আর ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল রাতে মাত্র ৩হাজার টাকায় অজ্ঞাতনামা এক নারীকে সিলেটের রেলগেইট থেকে বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুরস্থ তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে শফিক। ধর্ষণের পর টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে একই জায়গায় ওই নারীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

দেড়বছর আগের ওই ঘটনায় তার চাচাতো ভাই ইমরান আহমদ রিয়াদ ও দুলাল নামের দুই যুবককে ফাঁসাতে তাদেরর ছবিও লাশের ভ্যানিটি ব্যাগে রেখে দেয়। সর্বশেষ ওই অজ্ঞাতনামা নারীর পরিচয় বের না করেই গত জুলাই মাসে সিলেট ‘পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মোহন রঞ্জন দাশ ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন।

নিহত রুমীর ময়না তদন্ত রিপোর্ট এখনোও পাননি জানিয়ে ওসি দোহা আরও বলেন, ঘাতক শফিকের পাশাপাশি তার স্ত্রী সোনালী আক্তার হিরা, ভাবী লাভলী বেগম ও দিপা বেগম হত্যাকাণ্ডটি দেখেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।