শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সফল জননী হাসনার স্বপ্ন পূরণ



বিজ্ঞাপন

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:: হাসনা বেগম। পেশায় একজন গৃহিণী। তাঁর নিজের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারেননি। তবে তিনি দমে যাননি। নিজে না পরলেও তার স্বপ্ন ছিল সন্তানদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। হয়েছেও ঠিক তাই। তাঁর দুই সন্তানকে তিনি ডাক্তার বানিয়েছেন। ছোট ছেলেকেও ডাক্তার বানানোর ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

হাসনা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী। তিনি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের ব্যবসায়ী ও প্রথমশ্রেণীর ঠিকাদার মো. জয়নাল আবেদীন এর স্ত্রী। বাবার বাড়ি কুলাউড়া উপজেলায়। বাবা মরহুম হাজি আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ভাই-বোনদের মাঝে সবচেয়ে বড় ছিলেন হাসনা বেগম।

হাসনা বেগমের ইচ্ছে ছিল নিজে পড়ালেখা করে অনেক দূর এগিয়ে যাবেন তা আর হয়নি। ১৯৯৪ সালে বিবাহ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন হাসনা বেগম। তাদের ঘরে জন্ম নেওয়া দুই ছেলে সন্তান ও এক মেয়েকে মানুষের সেবা করার জন্য হাসনা বেগম নিজে নিজেই প্রতিজ্ঞা করলেন সন্তানদেরকে ডাক্তার বানাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় বড় ছেলে ডা: মাহবুবুর রহমানকে প্রথমে এমবিবিএস সম্পন্ন করান। এরপরে চিকিৎসা সেবায় আরও কয়েকটি ডিগ্রি অর্জন করান। বর্তমানে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ঢাকা
স্কয়ার হসপিটালে কর্মরত আছেন। বড় ছেলের স্ত্রী পেশায় একজন গাইনি সার্জন। তিনি ডা: কাজি সাজীয়া হক নামে পরিচিত। তাঁর দাদা কুড়িগ্রামের টাইগার অব নর্থবেঙ্গল খ্যাত রাজনীতিবিদ, লেখক কাজী ইমদাদুল হক।

হাসনা বেগমের একমাত্র মেয়ে ডা. নূরে জান্নাত রিয়া কম্বাইন্ড মিলিটারি হসপিটাল থেকে আজ এমবিবিএস পাশ করেছেন। ছোট ছেলে মো. তানভীর রহমান ওহী এমসি ক্যাডেট কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

হাসনা বেগম বলেন, আমি নিজে পড়ালেখা করে বেশিদূর যেতে পারিনি। তাই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমার সন্তানদেরকে মানুষের সেবক বানাবো। সন্তানদেরকে চিকিৎসক বানিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছি। আমার ছেলে মেয়েরা মানুষের সেবা করবে এটাই চেয়েছিলাম। তাদেরকে পড়া লেখা করাতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। তাদের বাবা একজন ব্যবসায়ী তিনি সবসময় ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। আমার একটা ছেলে ও একমাত্র মেয়ে ডাক্তার হয়েছে। বড় ছেলে বউ সেও একজন গাইনি সার্জন। ছোট ছেলেকেও ডাক্তার বানাবো।