রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় ৩ বছরেও শেষ হয়নি বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ নয় মাসে শেষ হওয়ার কথা। অথচ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কাজ শেষ করেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এই অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়-কাম শিক্ষক মিলনায়তনে চলছে প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছিল শ্রেণি কার্যক্রম। শ্রেণিকক্ষ সংকটে যখন পাঠদান ব্যাহত হচ্ছিল। তখন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ওই বিদ্যালয়ে চারতলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট তিন কক্ষের একটি একতলা ভবন নির্মাণের বরাদ্দ দেয়। প্রায় ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দের এই ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় মিহার ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৯ মাসে কাজ সম্পন্নের চুক্তিতে ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছরের আগস্টে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ভবন হস্তান্তরের কথা থাকলেও আজও নির্মাণ কাজই সম্পন্ন করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। আর এতে শ্রেণিকক্ষ সংকটে প্রায় ৩ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে চলছে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম।

সরেজিমেন দেখা গেছে, চান্দগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সংকটে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়-কাম শিক্ষক মিলনায়তনে চলছে প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম।

প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র বর্ধন জানান, কার্যাদেশ অনুযায়ি ২০২১ সালের আগস্টে একাডেমিক ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের কথা। কিন্ত ঠিকাদার প্রায় তিন বছরেও কাজ সম্পন্ন করেননি। বাধ্য হয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে তার কার্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তার কার্যালয়েই একাংশেই শিক্ষক মিলনায়তন। প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণিকার্যাক্রম চালানোর কারণে সহকারি শিক্ষকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী প্রিতম সিকদার জয় জানান, কার্যাদেশ অনুযায়ী একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করায় ইতিপূর্বে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কয়েক দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। অসুস্থতার কথা জানিয়ে ঠিকাদার সর্বশেষ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।