নিজস্ব প্রতিবেদক:: দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে বেড়াতে আসা তরুণ-তরুণীদের নির্জনে পেলেই একটি চক্র ভয় দেখিয়ে মোবাইল, গায়ের স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
দূর-দূরান্তের পর্যটকরা নানা ঝামেলা ও মানসম্মানের ভয়ে দ্বারস্থ হন না আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আর এতেই ওই চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গেল মঙ্গলবার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মাধবকুণ্ড বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সদস্য বেলাল আহমদ, হেলাল উদ্দিন, জবলু মিয়া, সুমন আহমদ, বাবুল মিয়া প্রমুখের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে আগত দূরদূরান্তের পর্যটকরা এখানে বেড়াতে এসে নানা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। জুনেদ আহমদ নামে স্থানীয় এক পেশাদার চোর ৪-৫ জনের একটি বাহিনী গড়ে তুলে পর্যটন স্পটের বিভিন্ন স্থানে ওৎ পেতে থাকে। তরুণ-তরুণী পর্যটকদের নির্জন স্থানে পেলেই জুনেদের নেতৃত্বে তার বাহিনী ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে তাদের সাথে থাকা দামী মোবাইল ফোন, গায়ের স্বর্ণালংকার ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। গত ৩০ এপ্রিল কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল এলাকার দুই তরুণ-তরুণীকে জুনেদ আহমদ জিম্মি করে তাদের মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করেছে। ভুক্তভোগীরা পর্যটক পুলিশের শরনাপন্ন হলে এসআই মোক্তার হোসেন তাদেরকে থানায় পাঠিয়ে দেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, করোনাসহ নানা দুর্যোগের কারণে দীর্ঘদিন (প্রায় আড়াই বছর) মাধবকুণ্ড ভ্রমণে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাধবকুণ্ড পর্যটন স্পটটি স্থবির হয়ে পড়ে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হন। এবারের ঈদের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটে। কিন্তু জুনেদ বাহিনীর নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ডে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সাথে সরকারেরও রাজস্ব হারানোর আশংকা দেখা দিয়েছে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান ও যেকোনো ধরনের হয়রানী রোধে ব্যবস্থা নিতে পর্যটন পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। এব্যাপারে তদন্তপূর্বক তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।