দালাল শাহিনের শাস্তি দাবি করেছেন সৌদি আরবে নির্যাতিত হবিগঞ্জের হোসনা আক্তার (২৪)। বাড়িতে ফিরে তিনি এই দাবি জানান। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তিনি ফেরত আসায় পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
হোসনা আক্তারের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে।
আলাপকালে হোসনা বলেন, ‘দালাল শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো। আমি তার শাস্তি চাই। আমাকে সৌদি আরবে প্রতিনিয়ত মারধর করা হতো। নিয়মিত খাবার দেওয়া হতো না। বাসার গৃহকর্ত্রী অনেক নির্যাতন করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। দালাল শাহিন লোভ দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমাকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছে।’
হোসনা জানান, দালাল শাহিনের বাড়ি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা শহরের কামড়াপুর।
এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস করতে পারবেন উল্লেখ করে হোসনা আক্তার জানান, গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে ২০ দিন আগে ‘আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্টিভিউশন’ নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব যান। সেখানে গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রথমে স্বামী শফিউল্লাকে ভিডিও বার্তা পাঠান। তার স্বামী ‘আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্টিভিউশন’ এজেন্সিতে গিয়ে এসব কথা জানালে এজেন্সির সংশ্লিষ্টরা তার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে হোসনা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য ওই ভিডিও স্বামী তার এক ভাইয়ের মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করেন। দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত সোয়া ১১টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এয়ারপোর্ট থেকে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। সেই গাড়িতে তিনি হবিগঞ্জে আসেন।