বিচারের দাবিতে এক বাবা মৃত মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন। প্রায় ১৫ মাস আগে তার ছয় বছরের মেয়ে ইতি আক্তারকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেই থেকে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বিরামচরের বাসিন্দা বাবা আব্দুস শহীদ বিচারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ইতি হত্যাকাণ্ড শায়েস্তাগঞ্জে এ সময়ের একটি আলোচিত ঘটনা। এ মামলাটি কিছুদিন তদন্ত করে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে পিবিআই হবিগঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে পিবিআই হবিগঞ্জ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই হবিগঞ্জের ইন্সপেক্টর শরীফ রেজাউল করিম জানান, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। অচিরেই এ মামলার রিপোর্ট আদালতে প্রদান করা হবে। প্রকৃত অপরাধীরা ছাড় পাবে না।
মেয়ে ইতি আক্তার হত্যার দ্রুত বিচারের আকুতি জানিয়ে বাবা আব্দুস শহীদ বলেন, পিবিআই হবিগঞ্জের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তারা এ মামলাটি তদন্ত করছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে আমার চাওয়া একটাই প্রকৃত আসামিকে যেন খুঁজে বের করেন। আদালতে যেন তার ফাঁসির আদেশ হয়। শিশু মেয়েকে ভুলতে পারছি না। বিচার দেখে মরতে চাই।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুর রকিব শিশু ইতি আক্তারের প্রকৃত খুনী বা খুনীদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, ইতি হত্যা মামলাটি প্রথমে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেন এসআই রাজিব। পরে তাকে পাল্টিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করা হয়েছিল ওসি (তদন্ত) মানিকুল ইসলামকে। তিনি মামলাটি তদন্ত করেন। পরে পিবিআই হবিগঞ্জের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারাও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই সকালে পশ্চিম বিরামচর সাহেববাড়ি জামে মসজিদের কাছ থেকে শিশু ইতির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইতির বাবা আব্দুস শহীদ বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এ মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন পিবিআই হবিগঞ্জের ইন্সপেক্টর শরীফ রেজাউল করিম।