সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

মৌলভীবাজারে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক



বিজ্ঞাপন

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদ এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

মনু নদের চাঁদনীঘাট এলাকায় ৮৫, ধলাই নদের পানি ২৪ এবং কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।


এসব নদ-নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে এবং পানি উপচে বাঁধের ভেতরে প্রবেশ করায় সদর উপজেলাসহ, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। দুর্গতের মধ্যে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত রোববার কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এর আগে কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা এলাকায় এবং আমদপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা এলাকায় নদের প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দিয়েছিলো। সেই ভাঙন দিয়ে পানি প্রবেশ করে রামপাশা, হকতিয়ারখোলা, ঘোড়ামারাসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

এছাড়া ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ উপচে রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতাপী, জগন্নাথপুর, জগনশালাসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নে প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দি আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ।

শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিলাসপার এলাকায় পাহাড়ি ঢলে ছড়ার পানিতে ৫টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।


এদিকে রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর, উত্তরভাগ ও কামারচাক ইউনিয়নে কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানিয়ে আকস্মিক বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক জানান, কমলগঞ্জের ২২টি গ্রামে পানি প্রবেশ করে প্রায় বিশ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন। তাদের মাঝে চার’শ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৪ মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঢল ও বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় জেলার ৪৬ হাজার মানুষ রয়েছেন পানিবন্দি। তাদের মাঝে ৩৬ মেট্রিক টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলার শেরপুরে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় ১৭৪ হেক্টর আউশ ধান আক্রান্ত হয়েছে এবং ৫৯ হেক্টর আউশের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, পানি নামার পরই ধলাই নদের তিনটি ভাঙন স্থান মেরামত করা হবে।