সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বিপর্যয়ের মুখে হাকালুকির সৌন্দর্য ও প্রাণপ্রাচুর্য 
নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক



বিজ্ঞাপন

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত সিলেট জেলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর হাকালুকি হাওরের অবস্থান। এ হাওরের মোট আয়তনের ১০ ভাগ গোলাপগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত হলেও সিলেটের ৫টি উপজেলা বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ নিয়েই এর সীমানা বিস্তৃত।

হাকালুকির রূপ লাবণ্য পর্যটন পিপাসুদের মন কেড়ে নেয়। অনাবিল রূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ছুটে আসেন এই হাওরে। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার হিসেবে পরিচিত ভ্রমণপিপাসু মানুষের মূল গন্তব্যস্থল হলেও অব্যবস্থাপনা আর পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে হাকালুকির প্রাণ প্রাচুর্য বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

উপজেলার প্রকৃতিপ্রেমী বিশিষ্টজনরা বলেন, হাওরাঞ্চল রক্ষায় সংশ্নিষ্টদের অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত তদারকির অভাবে এ হাওরের সৌন্দর্য দিন দিন বিলীন হতে চলেছে। তা ছাড়া নানা কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে হাওরের মাছ উৎপাদনকারী বিলগুলো।

হাকালুকি পারের বেশ কয়েকটি এলাকার লোকজন জানান, এ হাওরে শীতকালে দেশি-বিদেশি অতিথি পাখির বিচরণ ঘটে। প্রতি বছর শীতকালে দেশি-বিদেশি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো হাওর এলাকা। পাখিপ্রেমী লোকজন এ জন্য এখানে ছুটে আসে পাখি দেখতে।

হাকালুকি হাওরের চারদিক ঘিরে রয়েছে ২৮টি ভিসিজি। এসব ভিসিজি পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করে। এ ভিসিজিগুলোর কারণে হাকালুকি হাওর পাড়ে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র।

এই পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়ায় রয়েছে একটি আকর্ষণীয় পরিবেশ টাওয়ার। জুড়ীতে বেলাগাঁও গ্রামের শেষ প্রান্তে রয়েছে চারতলা বিশিষ্ট আরেকটি পরিবেশ টাওয়ার। আর বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে খুটাউড়া এলাকায় রয়েছে আরেকটি পর্যটনকেন্দ্র। এ ছাড়াও রয়েছে পাখি পরিদর্শন টাওয়ার।

হাওর পারের কালিকৃষ্ণপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া জানান, হাকালুকি হাওরের সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখতে হলে প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। তা ছাড়া হাওরাঞ্চল রক্ষার মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে। সরকারও প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারবে।

‘মাটি ভরাটের মাধ্যমে হাকালুকি হাওরের সৌন্দর্য নষ্ট করার অনেক অভিযোগ থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। তবুও যাদের এ ধরনের কাজে পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ভূমি ও পানি সম্পদ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,’ বললেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান। অতিথি পাখি শিকারিদের নিবৃত্ত করতে আরও ঘন ঘন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।