রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

সিলেট-৬: নাহিদের হ্যাটট্রিক জয় রুখতে মাঠে দুই চৌধুরী



বিজ্ঞাপন

শিপার আহমেদ, বিয়ানীবাজার:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হ্যাটট্রিক জয় রুখে দিতে নির্বাচনের মাঠে নিজেদের প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দুই চৌধুরী।

সিলেটের এ আসনে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের সাথে ভোটের মাঠে রয়েছেন সদ্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে যুক্ত হওয়া বি চৌধুরীর বিকল্প ধারার প্রার্থী ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বি চৌধুরীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী। একই সাথে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফয়সল আহমদ চৌধুরী।

মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ আসনে লড়বেন নৌকা প্রতীক নিয়ে। তার পাশাপাশি জোটের শরিক বিকল্প ধারা প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী এ আসনে লড়বেন কুলা প্রতীক নিয়ে। একইসাথে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে লড়তে যাচ্ছেন।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী নাহিদের বিপরীতে এ দুই চৌধুরীর অবস্থানকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাদের মতে এ আসনের উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিকল্প নেই। তাই তারা নাহিদের হ্যাটট্রিক জয়ে আশাবাদী।

জানা যায়, ২০০৮ সালে সিলেট-৬ আসনে মনোনয়ন পান জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা হাবিবুর রহমানকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নুরুল ইসলাম নাহিদ। টানা দুই মেয়াদে তিনি সিলেট-৬ আসনের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। উন্নয়নে রেখেছেন ব্যাপক ভূমিকা। তাই এবার হ্যাটট্রিক জয় নিশ্চিত করতে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কর্মীসভা করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি দিনব্যাপী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তার প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে উঠান বৈঠকের পাশাপাশি শীষের প্রচারণা চালান নবাগত ফয়সল আহমদ চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু ওই দিন দুপুরে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় তার গাড়ি বহর থামিয়ে সমর্থনকারী গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরী, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ফয়সলসহ আরো ৩ নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে আমার বিশ্বাস ছিল। কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডতো দূরে থাক, বরং এটা প্রতীয়মান হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন শিক্ষামন্ত্রীকে পাশ করানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ পুলিশ প্রটোকল নিয়ে এলাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ করেন তিনি বলেন, প্রশাসনের এই দ্বৈত নীতি আসন্ন নির্বাচনকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, প্রত্যাশিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হাস্যকরে পরিণত করেছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী নয়, পুলিশ প্রশাসন। নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষকে ভোটের অধিকার রক্ষায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অপরদিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদ্বেশ্বর ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি সভা করেছেন বিকল্প ধারার শমসের মবিন চৌধুরী। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কুলা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান বলেন, সিলেট-৬ আসনের উন্নয়নের স্বার্থে নাহিদ ভাইয়ের বিকল্প নেই। তৃণমূল আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ শুরু করেছেন। এবার নৌকার বিজয় নিশ্চিত।

বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি নজরুল হোসেন বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সব অন্যায়-নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ।