মৌলভীবাজার জেলার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মহাজোট, ঐক্যফ্রন্ট, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ২৮জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই প্রার্থীদের মধ্যে আছেন বর্তমান ও সাবেক সাংসদ। আছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। এদের অনেকেই রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে বিচরণ করা লোক। আবার প্রার্থী হয়েছেন এদের অনেকে একেবারে নতুন মুখ। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁরা পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন।
এই প্রার্থীদের মধ্যে যেমন সর্বোচ্চ পিএইচডি ডিগ্রিধারী আছেন। তেমনি আছেন অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন প্রার্থীও। মূলধারা ও মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের ডিগ্রিধারী লোকজন প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থীদের হলফনামায় তাদের দেওয়া শিক্ষার বিবরণ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মৌলভীবাজার-১
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই আসনে বিএনপির পক্ষে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র দানকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় হুইপ মো. শাহাব উদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে বিএ। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সাংসদ বিএনপির এবাদুর রহমান চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এলএলবি। বিএনপির অপর প্রার্থী এবারের নির্বাচনে নতুন মুখ নাসির উদ্দিন আহমেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে স্নাতক। জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে মাস্টার অব আর্টস। জাতীয় পার্টির আহমেদ রিয়াজ উদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে দশম শ্রেণি পাস এবং এই আসনের অপর প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের গিয়াস উদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে অস্টম শ্রেণি।
মৌলভীবাজার-২
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনটি জোট-মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের নানা সমীকরণে আলোচিত একটি আসন। এই আসনে মহাজোট, ঐক্যফ্রন্ট, স্বতন্ত্রসহ মোট আটজন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র দানকারীদের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে বিএ (অনার্স), এমএ। মহাজোটের পক্ষে বিকল্পধারার এম এম শাহীনের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এসএসসি। এই আসনের বর্তমান সাংসদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল মতিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এইচএসসি। জাতীয় পার্টির মহিবুল কাদির চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে স্বশিক্ষিত। জাতীয় পার্টির মো. মাহবুবুল আলমের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এমকম, এলএলবি। ইসলামী আন্দোলনের মো. মতিউর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোছাইন রহমানীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে দাওরায়ে হাদিস এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রশান্ত দেব ছানা রুহেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে অষ্টম শ্রেণি।
মৌলভীবাজার-৩
মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনটিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ মোট নয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই আসনে বিএনরি পক্ষে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র দানকারীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেছার আহমদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক। বিএনপি প্রার্থী নাসের রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে বিকম (সম্মান)। বিএনপির অপর প্রার্থী রেজিনা নাসেরের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এমবিএ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষে বাসদের মো. মগনু মিয়া (মঈনুর রহমান মগনু)র শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে এলএলবি। বিএনএফের আশা বিশ্বাসের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে স্বশিক্ষিত। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান কামালীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে তাকমিল ফিল হাদিস। স্বতন্ত্র আব্দুল মোসাব্বিরের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে হাইস্কুল/ডিপ্লোমা যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামী আন্দোলনের মো. আছলমের শিক্ষাগত যোগ্যতা তাকমিল এবং খেলাফত মজলিসের আহমদ বিলালের শিক্ষাগত যোগ্যতা দাওরায়ে হাদিস।
মৌলভীবাজার-৪
মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ মোট পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন হচ্ছেন বিএনপির। মনোনয়নপত্র দানকারীদের মধ্যে সাবেক চিফ হুইপ ও বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আব্দুস শহীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে পিএইচডি। বিএনপির মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এমকম (প্রথম পাঠ)। বিএনপির অপর প্রার্থী মুঈদ আশিক চিশতীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে বিবিএ। গণফোরামের শান্তিপদ ঘোষের শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি এবং ইসলামী আন্দোলনের ছালাউদ্দিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে মিশকাত।