জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। ১২ দিন কারাভোগের পর রোববার সন্ধ্যায় তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। এ সময় তাকে বরণ করে নেন সিলেট বিএনপির নেতারা।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বক্ত সাদেক বলেন ‘সবকটি মামলায় জামিন লাভের পর রোববার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত হলেও শাররীকভাবে সুস্থ রয়েছে।
গত ২৪শে অক্টোবর সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই নগরীর উপশহরের রোজভিউ হোটেলের সামনে থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে নগরীর সমবায় ভবনের সামনের নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৫শে অক্টোবর তাকে আদালতে নেয়া হয়। আদালত খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে কারাগারে পাঠান।
এ মামলা ছাড়াও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে পুরনো মামলা ছিল।
গত ১লা ডিসেম্বর সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হয়ে যোগদান করেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। অনুষ্ঠান চলাকালে ইউনিয়ন পরিষদে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি উল্টিয়ে রাখা হয়। এতে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে অবমাননা’ করা হয়েছে, এমন অভিযোগ এনে সিলেট জেলা বারের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম সিরাজী জালালাবাদ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। এ মামলায়ও তিনি জামিন লাভ করেন।