শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখা হানাদারমুক্ত দিবস পালন



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় হানাদারমুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে বড়লেখা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ আহমদের সঞ্চালনায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান, মুক্তিযোদ্ধা ফণী চন্দ্র শীল, মুক্তিযোদ্ধা তপন আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ সিটু, আব্দুল ফাত্তাহ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদের আহমদ প্রমুখ।

সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ৬ ডিসেম্বর বড়লেখার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। এদিন বড়লেখা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাক হানাদারবাহিনী বড়লেখা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তায়ন করতে হবে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখাবাসী জেগে উঠেছিল রণহুঙ্কারে। ৩২৫টি গ্রাম যেনো প্রতিরোধের এক একটি বিশাল দূর্গে পরিণত হয়। বড়লেখা থানাটি ৪ নম্বর সেক্টরের আওতাভুক্ত ছিল। মেজর সি.আর দত্ত সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। এ সেক্টরের সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের করিমগঞ্জে প্রয়াত এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজীর নেতৃত্বে। বড়লেখা থানার পার্শ্ববতী বারপুঞ্জি ও কুকিরতলে সাব-সেক্টর স্থাপন করা হয়। হানাদারদের বিরুদ্ধে অসংখ্য ছোট বড় আক্রমণ চালিয়েছে এ সাব সেক্টরের মুক্তি সেনারা। যুদ্ধের শুরুতেই বড়লেখার বিভিন্ন স্থানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সংগ্রামী মানুষ। অবিশ্বাস্য দ্রুততায় তাঁরা নেমে পড়েন শত্রুর মোকাবেলায়। ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নাকাল পাক হানাদার বড়লেখা ছেড়ে পালায়। ভোরে বড়লেখা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। পরে বর্তমান উপজেলা পরিষদের সামনে এক বিজয় সমাবেশ ওড়ানো হয় লাল সবুজের পতাকা। মুক্তিযোদ্ধারা বড়লেখা উপজেলার লাতু, সারোপার, শাহবাজপুর, ধামাই চা বাগান, হাকালুকি পারের কয়েকটি গ্রাম, বোরাথল, মাইজগ্রাম, ডিমাই, কেছরিগুল, কাঁঠালতলী, মাধবকুন্ড, দশঘরিতে অপারেশন চালিয়েছেন।