নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রবাসী স্বামীর উদ্দেশ্যে চিরকুট লিখে জীবনের ইতি টানলেন ঝুমা রাণী দাস (২৬) নামে এক গৃহবধূ। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদীঘা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যাই বলে ধারণা করছে।
মৃত্যুর আগে ঝুমা তার স্বামীকে উদ্দেশ্য করে একটি চিরকুট লিখে গেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন-‘প্রিয় স্বামী, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয়। আমি নিজেই দায়ি। আমার স্বামী খুবই ভালো মানুষ। আমি আমার স্বামীকে খুব ভালোবাসি। আমার কলিজার টুকরা রাধিকাকে রেখে গেলাম তোমার কাছে। আমার বিশ্বাস তুমি রাধিকার মা, বাবা দুটোই হতে পারবে। আমার মেয়েটাকে দেখে রেখো।-ইতি ঝুমা।’
ঝুমা ফ্রান্সপ্রবাসী রূপক চন্দ্র দাসের স্ত্রী। তাদের ৫ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝুমার স্বামী রূপক চন্দ্র দাস ফ্রান্সপ্রবাসী। প্রায় তিন মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসেছেন। সোমবার সকালে ঝুমার স্বামী, ভাসুর, শাশুড়ি ও মেয়ে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। অসুস্থ থাকায় ঝুমা রাণী দাস বাড়িতে থেকে যান। ওইদিন বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে ঝুমা রাণী দাসের জ্যা তার (ঝুমার) কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বসতঘরে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলেন। এসময় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুমাকে দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঝুমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে বড়লেখা থানার এসআই দেবল চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজারে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।