নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ডিমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের মূল্যবান গাছ কেটে নেওয়া, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে তাকে দ্রুত অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করেছেন।
এতে জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন, শিক্ষার্থী অভিভাবক বিলাল আহমদ, সুমি বেগম, ফয়সল আহমদ, মুজিবুর রহমান, আপ্তাব আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বছরের পর বছর ধরে প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান এই স্কুলে দুর্নীতি করছেন। একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে শুধু তদন্তই চলে, অভিযোগের সত্যতা পান তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্ত তার বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন এলাকাবাসী ফুঁসে উঠছে। তাকে অপসারণ করা না হলে অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসী আরো বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মীর মুহিবুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ তদন্তাধীন। তিনি কোনো দুর্নীতি করেননি। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও সরকারি অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার ব্যাপারে বলেন, সব হেডমাস্টার যেভাবে শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠায় তিনিও সেভাবে পাঠিয়েছিলেন। কেন শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির আওতায় পড়েনি তা বলতে পারছেন না।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম জোবায়ের আলম জানান, খবর পেয়ে তিনি উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার সৌরভ গোস্বামীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন। শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তিনি যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখে আসেন তাতে মনে হয় ওই প্রধান শিক্ষককে বাধ্যতামুলক ছুটি দিতে হতে পারে। বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে তাৎক্ষণিক জানিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।