রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় ২ মাসেও দিনমজুর সালাউদ্দিন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি, জড়িতদের শনাক্তের দাবিতে মানববন্ধন



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দিনমজুর সালাউদ্দিন (৩৫) হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়নি ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত কোনো আসামিও। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারের দাবিতে নিহেতর স্বজনসহ এলাকাবাসী রোববার দুপুরে বড়লেখা পৌরশহরে মানববন্ধন সমাবেশ করেছেন। পরে তারা থানার ওসির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

হত্যাকান্ডের শিকার দিনমজুর সালাউদ্দিনের ভাগ্নে ইকবাল জাফরের সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ আলী, আব্দুল হালিম, ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মুজিবুর রহমান, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির পলাশ, নিহত সালাউদ্দিনের বাবা কমর উদ্দিন, চাচা পারভেজ আসুক, ছোটভাই আমির উদ্দিন, ভগ্নিপতি হাফিজ বেলাল আহমদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৮ এপ্রিল রাত থেকে ১৯ এপ্রিল বিকেলের যে কোনো সময় নির্মমভাবে সালাহ উদ্দিনকে খুন করে রাতখাল নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখে স্বজনদের খবর দেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আমির উদ্দিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেন। এরমধ্যে আফজাল হোসেনকে ২৪ এপ্রিল সালাউদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড প্রার্থনা করেন। নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আফজল হোসেন কুড়িয়ে পেয়েছে দাবি করে সিএনজি চালক মামুন হোসেনকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয় ফোনটি নিহত সালাউদ্দিনের। স্বজনদের প্রশ্ন প্রতি রাতে মামুন হোসেন দিনমজুর সালাউদ্দিনকে নিয়ে বিয়ানীবাজারে গ্যাস আনতে যেত। ওই দিন কেন সে তাকে নেয়নি। ঘটনার রাতে যে বাড়িতে সালাউদ্দিন ভাত খেয়েছে তাকে তদন্ত কর্মকর্তা আইনের আওতায় নেননি কেন?

বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, দিনমজুর সালাহ উদ্দিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্লু উদ্ঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবিতে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী রোববার দুপুরে থানায় একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করে দেওয়া হতে পারে।