নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে বাধাদান, পুলিশকে শিক্ষার্থীদের উপর গুলির হুকুম দেওয়া, হামলা ও নানা দুর্নীতির অভিযোগ তোলে চার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতার পদত্যাগ দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতা রোববার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধন শেষে তারা ইউএনও ও বড়লেখা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
চার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা হলেন-বড়লেখা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম হেলাল উদ্দিন, একই কলেজের প্রভাষক যুবলীগ নেতা হাসান আহমদ ও জেলা যুবলীগ নেতা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েল।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে নারীশিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম হেলাল উদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হওয়ায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নসাৎ করতে তিনি নানাভাবে ভূমিকা রাখেন। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌরমেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, যুবলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান ছালেহ আহমদ জুয়েল, প্রভাষক হাসান আহমদ বিগত দিনে ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রকাশ্যে বিরোধীতা করেন এবং ছাত্রদের নায্য দাবীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। চলমান ছাত্র আন্দোলনে অনেক তাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত নতুন স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে বর্তমানে দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিষদ রাষ্ট্র মেরামতে ভূমিকা রাখছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রকাশ্যে বিরোধীতাকারী ও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে হামলাকারী বড়লেখার এই চার আওয়ামী লীগ নেতা সেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে দ্রুত তাদের পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বড়লেখা উপজেলার দুইজন জনপ্রতিনিধি ও দুই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিসহ আরো কিছু দাবি দাওয়া সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।