নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সুপ্রীম কোর্টের স্থিতাবস্থা জারির আদেশ অমান্য করে ছিদ্দেক আলী ওয়াকফ এস্টেটের ভূমিতে প্রতিপক্ষের লোকজন স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নির্মাণকারীরা সটকে পড়ে। পরের দিন মঙ্গলবার পুনঃরায় কাজ শুরু করলে উত্তেজনার আশঙ্কায় থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ উদ্দিন, সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম সহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের আজিমগঞ্জ বাজারে ছিদ্দেক আলী ওয়াকফ এস্টেটের আজিমগঞ্জ বাজার নিয়ে সুপ্রীমকোর্টের সিভিল রিভিশন মামলায় (৪৩৩২/৯৯) স্থিতাবস্থা জারির আদেশ বহাল রয়েছে। ওয়াকফ এস্টেটের মোতোয়াল্লী সামছুজ্জামান নোমান অভিযোগ করেন, আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ অম্যান্য করে এস্টেটের আজিমগঞ্জ বাজারের মাছ বাজারে জনৈক মানিক আহমদ, সফিক আহমদ, আলী আহমদ, সোহাগ আহমদ, রুবেল আহমদ, গংরা গত আগষ্ট মাসে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের পায়তারা চালান। তিনি স্থানীয় প্রশাসনে অভিযোগ করায় থানা পুলিশের তৎপরতায় সাময়িকভাবে তারা কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্ত সোমবার ও মঙ্গলবার আদালতের স্থিতবস্থা জারিকৃত উক্ত ভূমিতে তারা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট ভূমির ওপর পাকা খুঁটির নির্মিত ঘরের অধিকাংশে টিনের চাল স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। কিছু ঢেউটিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম লাগানোর জন্য নিচে রাখা। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কাজের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন, সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম প্রমুখ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীরা সটকে পড়ে।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, আদালতের স্থিতাবস্থা জারি থাকা ভূমিতে কোনো ধনের স্থাপনা নির্মাণের এখতিয়ার কারো নেই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নির্মাণকারীরা পালিয়ে যায়। তবে এব্যাপারে পুলিশের নজর থাকবে।