নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখার রোকেয়া খাতুন লাইসিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষ থেকে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি একটি বিদ্যালয়ের আয়োজনে হলেও উপজেলার শিক্ষক, শিক্ষানুরাগীদের মিলনমেলায় রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বড়লেখা পৌরসভার মেয়র এবং রোকেয়া খাতুন লাইসিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
প্রধান অতিথি পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘শুধু এ প্লাস পেলেই মেধাবী হওয়া যায় না। এ প্লাস পেলেই মেধাবী হলে এ প্লাস যারা পায়, তাদের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করে দেওয়া হতো। এ প্লাস প্রাপ্তকেও ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিতে হয়। সেখানে এ প্লাস পায়নি, তারাও ভর্তির সুযোগ পায়। এ প্লাস না পেলেও মেধাবী হয়। মেধাবী হতে পড়াশোনা করতে হবে। ’
শিক্ষার্থীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তোমরা বিদেশ যাবে, তাতে আপত্তির কিছু নেই। বিদেশ যাবে, কিন্তু যোগ্যতা অর্জন করে যাবে। যাতে বিদেশ গেলে মর্যাদার সাথে কাজ করতে পার।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রভাংশু সোম মহান, বড়লেখা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিৎ কুমার চন্দ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন, অভিভাবক সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও সালেহ আহমদ জুয়েল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল আহমদ। বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নাফিসা ইসলাম, আশরাফুল জামান জনি, মাহজাবীন আশরাফ মোহনা। সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জায়েদুর রহমান, সুমি দত্ত ও আব্দুল্লাহ রিফাত।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, এখন বই পড়ার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। পাঠ্যসূচির বাইরে অন্য বই পড়তে হবে। গল্প, কবিতা, উপন্যাসসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার বই পড়তে হবে। জ্ঞান অর্জন করতে হলে পাঠাগারে সময় দিতে হবে। অনেকেই ফেসবুক, ইউটিউবসহ মোবাইল ফোনে বেশি সময় নষ্ট করছে। মোবাইল ফোনে সময় নষ্ট না করে বইয়ে সময় দিলে নিজেরা লাভবান হবে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভালো-মন্দ দিক নিজেদের বুঝতে হবে। মোবাইল ফোন ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। মোবাইল ফোন ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে গত ২০২০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকে বৃত্তিপ্রাপ্ত ২৪৭ জন, বার্ষিক প্রতিযোগিতায় ২৬৩ জন এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫৩ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া অভিভাবকদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।