নিজস্ব প্রতিবেদক:: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় লাইন রক্ষণাবেক্ষনের নামে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি সৌন্দর্য বর্ধনের পৌরমেয়রের লাগানো বেশ কিছু গাছের গুড়া কেটে ফেলেছে ও মাথা মুড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার দুপুরে পৌরশহরের পানিধার এলাকায় প্রয়োজন ছাড়াই পরিবেশবান্ধব এসব মূল্যবান উঠতি গাছ কেটে ফেলা হয়। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অতি উৎসাহী কর্মকান্ডে এলাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় প্রতি সপ্তাহে একদিন সকাল-সন্ধ্যা বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ছাঁটাইয়ের নামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের ডালপালা কাটে। নিয়মিত ঢালাপালা ছাঁটাইয়ের অংশ হিসেবে শনিবার পৌরসভার পানিধার এলাকায় সওজ রাস্তার পাশে দুই বছর আগে পৌরমেয়রের সৌন্দর্য বর্ধনে রোপণকৃত বেশ কিছু গাছ অতি উৎসাহি হয়ে গোড়ায় কেটে ফেলে বড়লেখা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, মেয়রের লাগানো গাছ কোনোভাবেই বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি করছে না এবং তা বিদ্যুৎ লাইনের কাছাকাছিও নয়। অপ্রয়োজনে গাছ কাটার ঘটনায় সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পৌর মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী বলেন, গাছগুলো রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়। বিদ্যুৎ লাইনের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেই পরিকল্পনা নিয়েই রোপণ করেন। কিন্তু পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লোকজন অতি উৎসাহী হয়ে শনিবার দুপুরে বেশ কিছু গাছ গুড়ায় কেটে ফেলে এবং আরো কিছু গাছের মাথা মুড়িয়ে ফেলে। এর আগেও তারা অপ্রয়োজনে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলে। এতে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে তিনি পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোনে আপত্তি জানান ও থানার ওসিকে অবহিত করেন।
এব্যাপারে বড়লেখা পল্লীবিদ্যুত সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল হুদা বলেন, বিষয়টি জানার পরই ওই এলাকায় গাছকাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগামীতে গাছের ডাল কাটায় শ্রমিকদের আরো সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।