বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ



Sex Cams

                    চাইলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

বড়লেখায় ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহকের প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সংশ্লিষ্টদের আইনী নোটিশ, অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

সংশ্লিষ্টদের আইনী নোটিশ, অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক



বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ইসলামী ব্যাংক মৌলভীবাজারের বড়লেখা শাখার গ্রাহক মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব থেকে প্রতারণামূলক ভাবে ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এব্যাপারে নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকের নিয়োজিত মৌলভীবাজার জেলা বারের আইনজীবী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম গত ২৩ জুলাই ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জোনাল হেড ও বড়লেখা শাখা ব্যবস্থাপককে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গ্রাহকের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর প্রাপ্তি শাখা। অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন, দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আরিফ সাদেক।

এদিকে ইসলামি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ শাখাও এমন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণীত হলে সেই শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিগ্যাল নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখার গ্রাহক মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের নিকট ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পাওনা দাঁড়ায় ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। এব্যাপারে গ্রাহের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজার অর্থঋণ ও যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা (৬৩/২০২০) করে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চলিত বছরের ১৭ এপ্রিল খেলাপি ঋণের সমূদয় অর্থ পরিশোধ করেন। মামলার বাদী (ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখা) ৭ মে আদালতে হাজির হয়ে দায়িক (গ্রাহক) ব্যাংকের সমূদয় টাকা পরিশোধ করেছেন জানিয়ে পূর্ণ সন্তোষ্টিতে মামলাটি নিষ্পত্তির আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আদেশ দেন অত্র অর্থঋণজারী মামলাটি প্রার্থীত মতে পূর্ণ সন্তোষ্টিতে নিষ্পত্তি করা গেল।

এদিকে ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখার ম্যানেজার মিথ্যা ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে মোহাম্মদ কামরুল ইসলামকে একটি নতুন একাউন্ট (হিসাব নং-২০৫০২৮৪২০১৯৩২২০০) খোলান এবং স্বাক্ষর নিয়ে চেক বইয়ের চারটি ব্ল্যাঙ্ক পাতা রেখে দেন। এর মধ্যে কামরুল ইসলাম তার নতুন হিসাবে ৫০ লাখ টাকা জমা রাখেন। ১৫ মে পর্যন্ত তার একাউন্টে টাকা জমা থাকতে দেখেন। কিন্তু ২৯ মে ব্যাংক স্টেটমেন্ট তুলে দেখেন তার একাউন্ট থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিনা অনুমতিতে ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে।

নোটিশ দাতা আইনজীবী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জানান, আমার মোয়াক্কেল ব্যাংকের সমুদয় পাওনা টাকা ৭ মে পরিশোধ করেছেন। আদালতে বাদী (ব্যাংক কর্তৃপক্ষ) লিখিতভাবে আবেদন করায় বিজ্ঞ আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। কিন্তু আদেশের ২২ দিন পর আমার মোয়াক্কেলের ভিন্ন একাউন্টে জমা রাখা টাকা প্রতারণামূলক ভাবে আত্মসাত করা হয়েছে। বারবার ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করেও আমার মোয়াক্কেল কোনো সদুত্তর পাননি। নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত না দিলে দেশের প্রচলিত আইনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।

এদিকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসলামী ব্যাংক বড়লেখা শাখার ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামান বৃহস্পতিবার রাত আটটায় বলেন, ‘উনার (গ্রাহক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম) একটা লোন ছিল, সেটার সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। এক টাকাও আত্মসাত করা হয়নি।’