লাতু ডেস্ক:: সিলেট অঞ্চলে তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে লোডশেডিংয়ের মাত্র বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অফিস-আদালত বাসাবাড়ি—সর্বত্র ত্রাহী অবস্থা। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কম উৎপাদন ও সরবরাহের ঘাটতি থাকায় বিদ্যুৎ এর এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় সিলেটে লোডশেডিং হচ্ছে। বিভাগীয় নগরী সিলেটে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হচ্ছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য লাঠে উঠতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বহু বার লোডশেডিং হয়। বিদ্যুৎ এই আসে এই যায়। যাদের আইপিএস রয়েছে—তারাও বিপাকে। কারণ আইপিএসের ব্যাটারিতে চার্জ হয় না।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলিয়ে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা; কিন্তু বিপরীতে সরবরাহ আছে ৩৫০ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সিলেট বিভাগে বিউবো পেয়েছে ১৩৮ মেগাওয়াট এবং পল্লী বিদ্যুৎ ২১১ মেগাওয়াট। ফলে ১৯০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। তাই এই সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে এ থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি এই কর্মকর্তা। নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, রাতে বেশ কয়েক বার বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে অসহ্য গরমে ঘুমানো যায় না। বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়িতে পানি থাকে না। গত তিন দিন ধরে প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে গেছেন।